নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির বাঁকুড়া জেলা শাখার উদ্যোগে এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক শাখার সক্রিয় পরিচালনায় জেলার মোট ২৫টি পরীক্ষাকেন্দ্রে একযোগে এই মক টেস্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। বাংলা ও ইংরেজি—উভয় মাধ্যমেই বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে, যাতে সমস্ত পরীক্ষার্থী সমানভাবে উপকৃত হতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: মহাদুর্লভ যোগ! ‘২৬ সালের শুরুতেই একাধিক রাজযোগ, ৩ রাশির জ্যাকপট, নতুন বছরেই সাফল্যে হাতের মুঠোয়
শিক্ষাবিদদের মতে, মাধ্যমিকের আগে এই ধরনের মক টেস্ট কার্যত একটি ‘ড্রেস রিহার্সাল’। পরীক্ষার নির্দিষ্ট সময়ে বসে প্রশ্ন পড়া, উত্তর সাজান, লেখার গতি বজায় রাখা—এই সব কিছু বাস্তব পরিবেশে অভ্যাস করার সুযোগ মিলছে। পাশাপাশি, পরীক্ষার্থীরা নিজের প্রস্তুতির আসল চিত্র স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছে—কোন বিষয়ে তারা এগিয়ে, আর কোন জায়গায় এখনও ঘাটতি রয়ে গেছে। এই উদ্যোগের গুণগত মানও নজর কেড়েছে।
অভিজ্ঞ ও মেধাবী শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রশ্নপত্র রচনা করেছেন এবং তাঁরাই উত্তরপত্র মূল্যায়নের দায়িত্বে রয়েছেন। পরীক্ষার পর উত্তরপত্র পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। শুধু নম্বর জানিয়ে দেওয়াই নয়, কোথায় ভুল হয়েছে, কীভাবে উত্তর আরও নির্ভুল ও পরীক্ষাবান্ধব করে লেখা যায়—সে বিষয়েও বিস্তারিতভাবে বোঝান হচ্ছে। ফলে পড়ুয়ারা নিজের ভুল শুধরে নিয়ে পরবর্তী প্রস্তুতিকে আরও শক্ত করতে পারছে।
পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে পড়ুয়াদের অংশগ্রহণ ও আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মত। অনেক পড়ুয়াই জানিয়েছে, এই মক টেস্ট তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে এবং মাধ্যমিক নিয়ে দীর্ঘদিনের ভয় অনেকটাই কাটিয়ে দিয়েছে। অভিভাবকরাও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিনা খরচায়, পরিকল্পিতভাবে এবং শিক্ষকদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে এমন একটি উদ্যোগ বর্তমান সময়ে নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। মাধ্যমিকের আগে এই মক টেস্ট যে পড়ুয়াদের মানসিক প্রস্তুতি ও লেখার দক্ষতা দুটোই বাড়াবে, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। ভবিষ্যতের বড় পরীক্ষার পথে এটি যে এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, তা বলাই বাহুল্য।





