আইআইটি খড়গপুরের গবেষকদের একটি দলের নতুন গবেষণায় সতর্ক করা হয়েছে যে, চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলি কেবল ঘন ঘন এবং তীব্রতর হচ্ছে না, বরং বিভিন্ন এলাকা ভেদে সাধারণ মানুষের বয়সের উপর নির্ভর করে ভিন্নভাবে তাঁদের উপর প্রভাব ফেলছে। যা ক্রমশ বিপদ বাড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের।
advertisement
.
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক রাজীব মাইতির নেতৃত্বে একদল গবেষক এক বিশেষ পর্যবেক্ষণ করে তথ্য জানিয়েছেন। অধ্যাপকেরা জানিয়েছেন, তাপপ্রবাহ বা ঠান্ডা তরঙ্গ কীভাবে ভারী বৃষ্টিপাত বা শুষ্ক চরমের সাথে ওভারল্যাপ করতে পারে। এর ফলাফলগুলি স্পষ্ট অন্তর্দৃষ্টি তুলে ধরে কারণ বন্যা বা খরার সঙ্গে সঙ্গে তাপ-সম্পর্কিত চরম বিশ্বব্যাপী তীব্রভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে এবং এশিয়া ও আফ্রিকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানান হয়েছে।
আরও পড়ুন: লুকিয়ে ভিডিও কলে ফেরার আকুতি, পুজোর আগে ইরাকে কাজে গিয়ে আটকে বাংলার ১২ পরিযায়ী! চলছে অত্যাচার!
যেখানে শিশু এবং কর্মক্ষম বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির সম্মুখীন হবে। গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সাব-সাহারান আফ্রিকায় যুবসমাজ চরম বিপর্যয়ের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকবে। অন্যদিকে, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ায়, বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকবে, বিশেষ করে তাপপ্রবাহ এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে।
গবেষকেরা তথ্য অনুসন্ধান করে জানিয়েছেন, যদিও গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে শীতের তীব্রতা হ্রাস পাবে, আমেরিকা, উত্তর ইউরোপ এবং পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশে তা বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা ঘন ঘন তাপপ্রবাহ এবং ক্রমাগত ঠান্ডা পরিস্থিতি তৈরি করবে। যা আগামী প্রজন্মের জন্য বেশ ভয়ঙ্কর হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কলকাতার পর বাংলার দ্বিতীয় বিশ্ব বাংলা গেট কোন জেলায় তৈরি হচ্ছে? ঘোষণা হতেই খুশির জোয়ার!
স্বাভাবিকভাবে, পরিবেশ সম্পর্কিত ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা এবং সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান হয়েছে অধ্যাপকদের তরফে। আইআইটি খড়্গপুরের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক রাজীব মাইতির নেতৃত্বে শুভস্মিতা দাস, শুভ্রশেখর মাইতি এবং হেরাল্ড কুন্টস্মান এই গবেষণা চালিয়েছেন।