আরও পড়ুনঃ পুলওয়ামার পর্দাফাঁস! এবার পাক সেনা যা জানাল, বিশ্বে মুখ দেখাবে কী করে পাকিস্তান!
পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য অত্যাধুনিক জেন লাউঞ্জ থেকে কাউন্সেলিং-র নানা ব্যবস্থা করেও সমস্যার সমাধান হয়নি, বরং মাত্র চার মাসের ব্যবধানে একাধিক জন ভয়াবহ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।স্বাভাবিকভাবেই পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবকরা রীতিমত আতঙ্ক হয়ে পড়েছেন এই ঘটনায়। দেশজুড়ে বিভিন্ন মহলেই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে আইআইটি খড়্গপুর কর্তৃপক্ষকে। জানা গিয়েছে, মাত্র চার মাসের ব্যবধানে (১২ জানুয়ারি থেকে ৪ মে) মৃত্যু হয়েছে সাওন মালিক (১২ জানুয়ারি), অনিকেত ওয়ালকার (২০ এপ্রিল) এবং আসিফ কামার (৪ মে)-র। আর তাই এবার আরও একধাপ এগিয়ে ১০ সদস্যের একটি বিশেষ কমিটি গড়ল খড়্গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষ।
advertisement
একটি প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে আইআইটি খড়্গপুরের তরফে জানানো হয়েছে, এই কমিটিতে মনরোগ বিশেষজ্ঞ (সাইকোলজিস্ট), মনোবিদ (কাউন্সেলর) থেকে পুলিশ আধিকারিক, আইনজ্ঞ, শিক্ষাবিদ থেকে প্রাক্তনীদের প্রতিনিধিও থাকবেন।
আরও পড়ুনঃ সামাজিক মাধ্যমে দেশ বিরোধী বার্তা ছড়ানোর অভিযোগ, বাঁকুড়ার রাইপুরে গ্রেফতার এক
তাঁরা গত কয়েক মাসে তথা সাম্প্রতিক সময়ে আইআইটি খড়্গপুরে ঘটে যাওয়া পর পর ছাত্রমৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করবেন। এজন্য তাঁরা কথা বলবেন আইআইটি খড়্গপুরের পড়ুয়া, অধ্যাপক, শিক্ষাকর্মী থেকে শুরু করে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে ও। ঠিক কীকারণে এই ঘটনা ঘটছে, কেন মারাত্মক সিদ্ধান্ত নিছে পড়ুয়ারা, তা খোজার চেষ্টা করবে এই দল। এই ধরনের ঘটনা প্রতিহত করতে যে উদ্যোগ না হয়েছে, তা অদৌ কতখানি ফলপ্রসূ বা কার্যকরী হচ্ছে- সেই সমস্ত বিষয়গুলি এই কমিটি পর্যালোচনা করবে বলে জানিয়েছেন আইআইটি খড়্গপুরের জনসংযোগ আধিকারিক।
কমিটির নেতৃত্বে স্বাভাবিকভাবেই ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর অমিত পাত্র আছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও, আছেন মনোনীত মনরোগ বিশেষজ্ঞ, মনোবিদ, শিক্ষাবিদ, পুলিশ আধিকারিক, আইনজ্ঞ এবং প্রাক্তনীরা। আগামী ৩ মাসের মধ্যেই এই কমিটি একটি যথাযথ রিপোর্ট দেবে বলে এদিন জানানো হয়েছে আইআইটি খড়্গপুরের তরফে। স্বাভাবিকভাবে এই কমিটি অনেকটাই চরম সিদ্ধান্ত রুখে দেবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
রঞ্জন চন্দ