দিব্যা শিকারি, শম্পা শিকারি, মালা শিকারি ও পদ্মাবতি শিকারি এই চার বিরহোড় কন্যা বাগমুন্ডির ধসকায় পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মূ আদর্শ আবাসিক বিদ্যালয় ও বাঘমুন্ডি গার্লস হাই স্কুলের হোস্টেল থেকে পড়াশোনা করে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। লুপ্তপ্রায় জনজাতি বিরহোড় সম্প্রদায়ের একসাথে চার কন্যা মাধ্যমিক পাস করায় খুশির হাওয়া অযোধ্যা পাহাড় কোলের ভূপতিপল্লীতে।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
advertisement
একসঙ্গে ৪ বিরহোড় কন্যার সাফল্যে বাঘমুন্ডি সহ পুরুলিয়া জেলা অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরকে গর্বিত করেছে বলেই মনে করছে শিক্ষা মহল। এ বিষয়ে তাদের অভিভাবকেরা বলেন , তারা খেটে খাওয়া মানুষ কোনওরকমে সংসার চালান তারা। তাই তাদের কন্যা মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ায় তারা যতটা খুশি রয়েছেন ততটাই চিন্তিত রয়েছেন তাদের উচ্চ শিক্ষা নিয়ে। প্রশাসন যদি তাদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে তাদের কন্যারাও আগামী দিনের উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারবেন।
সদ্য মাধ্যমিক পাস করা দিব্যা শিকারি ও মালা শিকারি জানায় , তাদের খুবই ভালো লাগছে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হতে পেরে।তারা পড়াশোনা করে আগামী দিনে নার্স হতে চায়।বাঘমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মল্লিকা চক্রবর্তী এই চার কন্যার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। তথ্য বলছে , এর আগে একসঙ্গে ৪ বিরহোড় ছাত্রীর মাধ্যমিকে পাসের উদাহরণ নেই। ১৯৬০ সাল থেকে ২০২৫-র মাধ্যমিকের আগে পর্যন্ত এই জনজাতির মোট চার মেয়ে মাধ্যমিকে সাফল্য পেয়েছিল। আর এবার একসঙ্গেই ৪! ভারতবর্ষের যে কটি লুপ্তপ্রায় জনজাতি রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বিরহোড় জনজাতি।
বাগমুন্ডি ব্লকের ভূপতি পল্লী ছাড়াও পুরুলিয়ার বলরামপুর, ঝালদা ১ নম্বর ব্লকের কিছু অংশে এই জনজাতি রয়েছে। মূলত বিরহোড়রা এক সময় জঙ্গলে বসবাস করতেন জঙ্গলের ফলমূল খেয়েই থাকতেন। যদিও এখন তাদের জন্য সরকার পাকা বাড়ি তৈরিকরে দিয়েছে। তারা সেই বাড়িতেই থাকেন। তাদের ছেলে মেয়েরাও এখন স্কুলে যায়। সেই পিছিয়ে পড়া জনজাতির চার মেয়ের মাধ্যমিকের সাফল্যে খুশির হাওয়া জঙ্গলমহলে।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি