সমীরণের বাবা ধূপ ফেরি করে বেড়ান, আর্থিক অনটনটও যথেষ্ট। এত কিছুর মধ্যেই ২০১৮ সালে ঝড়ে ঘর ভেঙে যায়। যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। ঘরটির এত ক্ষতি হয় যে আবাস যোজনার এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা পাওয়া সত্ত্বেও তা সম্পূর্ণ সারানো সম্ভব হয়নি। তবুও কোনও রকমে জোড়া তালি দিয়ে চলে সংসার। নিজে টিউশনি পরিয়ে, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয় সে। এত কষ্টের পর অবশেষে এসেছে সফলতা।
advertisement
আরও পড়ুন: রুপোর চামচে ঝালমুড়ি! আপনিও কি স্বাদ নিতে চান? তাহলে ঘুরে আসুন নারায়ণের দোকানে
মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছে সমীরণ। বাঁকুড়া থেকে মেদিনীপুর গিয়ে থেকে পড়াশোনা করার বিপুল খরচা রয়েছে। সেই টাকা কোথা থেকে আসবে সেই ভেবে হীনমন্যতায় ভুগছিলেন সমীরণ। এত কাছে এসেও যেন সব স্বপ্ন আবারও ভেঙ্গে যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: পড়ে রইল পুজোর ফুল, ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গেল দেহ! লরির ধাক্কায় এক মুহূর্তে সব শেষ
ঠিক সেই সময়ই আলোর দিশা কর্ম যোগ নামে একটি সংস্থা সমীরণের ডাক্তারি পড়ার সমস্ত খরচ বহন করতে এগিয়ে আসে। আলোর দিশা কর্মযোগে সমীরণের মতই আরও বহু ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল না হওয়া সত্ত্বেও আলোর দিশার সহযোগিতায় নিজেদের হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন আবার নতুন করে দেখছে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী





