রাজ্যের আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রীদের এই কোর্সে তালিম দিচ্ছেন পদ্মশ্রী প্রাপ্ত ঢাকি গোকুল চন্দ্র দাস, বিশিষ্ট ঢাক বাদক সজল নন্দী সহ বিশিষ্ট শিক্ষকেরা। এদিন অশোকনগর কল্যাণগড় বিদ্যামন্দিরে এমনই এক কর্মশালার আয়োজন করে এলাকার মহিলা থেকে গৃহবধূদের বিশেষ ঢাক শিক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হল অমূল্য চন্দ্র নন্দী রিদমস্ মিউজিক কলেজের তরফে। এদিনের এই কর্মশালায় উপস্থিত শিক্ষকেরা বাংলার ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ঢাকশিল্পকে শুধুমাত্র পুজো বা অনুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ না রেখে শিক্ষার মূলধারায় নিয়ে আসার বিষয়টিকেও তুলে ধরেন।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের প্রাক্তন অধ্যক্ষ দেবাশীষ মণ্ডল জানান, ১৯৭৪ সাল থেকে যন্ত্র সংগীত বিভাগ চালু হয়েছে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। তারপর থেকেই বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের উপর বিএ অনার্স এবং মাস্টার ডিগ্রির সুযোগ থাকতো। ২০১৬ সাল থেকে লোক বাদ্যযন্ত্র তথা ঢাক, ঢোল, মাদল এর উপর বিশেষ শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। উচ্চ মাধ্যমিকের পর অভিজ্ঞতা থাকলে পরীক্ষা দিয়ে বিএ অনার্স করার সুযোগ রয়েছে। অনার্স করা থাকলে মাস্টার ডিগ্রির যেমন সুযোগ থাকে পাশাপাশি পিএইচডি করারও সুযোগ রয়েছে এই ঢাক শিক্ষার উপর বলেও জানান প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
কলেজে ঢাকের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পদ্ধতি হিসেবে শিক্ষক তথা পদ্মশ্রী প্রাপ্ত গোকুল চন্দ্র দাস জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের প্রথমে ঢাকের বোল লিখে দিয়ে মাদুরের উপরে বা বিছানায় সেই বোল লাঠির মাধ্যমে তুলিয়ে দেওয়া হয়। যখন সেই প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয় এরপরই ঢাকের উপর বাজানোর সুযোগ পান ছাত্রছাত্রীরা।ঢাক বাজানোর ক্ষেত্রে রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু বোল, সিলেবাস এর মত ধাপে ধাপে সেই বোল রপ্ত করেই একজন শিক্ষানবিশ প্রকৃত ঢাকি হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করেন ঢাকের আরেক শিক্ষক সজল নট্য।
ছাত্র-ছাত্রীরাও কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে এই শিক্ষা পেয়ে বেশ খুশি। পেশা থেকে শুরু করে নিজেদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এই শিক্ষা বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে বলেও জানালেন। এদিনের কর্মশালায় বহু মহিলা ঢাকিও অংশ নিয়েছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষকদের কাছ থেকে ঢাক বাজানোর নানা খুঁটিনাটি বিষয় জানতে ও শিখতে। যা আগামী দিনে তাদের দক্ষ মহিলা ঢাকী হয়ে উঠতে সাহায্য করবে বলেই মনে করা হয়।
Rudra Narayan Roy