জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার দ্বিতীয় সেশনে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানাধিকারী সে। তার একের পর এক সাফল্য গর্বিত করেছে এই জেলাকে। জেলার এই সোনার মেয়েকে সংর্বধনা দিল আড়শা ব্লক প্রশাসন ও আড়শা থানা।
পুরুলিয়ার আড়শা ব্লকের জামবাদ গ্রামের আদি বাসিন্দা এই মেধাবী ছাত্রী। বাড়িতে থাকেন তার ঠাকুমা, দাদু , জেঠু, জেঠিমা-সহ অন্যান্য আত্মীয়রা। তবে দেবদত্তার বাবা জয়ন্ত মাঝি ও মা শেলি দাঁ কর্মসূত্রে থাকেন কাটোয়াতে। দেবদত্তাও তাদের সঙ্গেই থাকেন। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্রী দেবদত্তা মাঝি।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের কোটি কোটি টাকা উদ্ধার, জানালা দিয়ে ৫০০ টাকার বান্ডিল ছুড়লেন ইঞ্জিনিয়ার! মারাত্মক কাণ্ড কোথায়?
দু-বছর আগে মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে সেরা হয়েছিল দেবদত্তা। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবার রাজ্যের মধ্যে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করে। অন্যদিকে, জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রথম সেশনে রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করার পর দ্বিতীয় সেশনে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তাই গোটা দেশের গর্ব পুরুলিয়ার এই ভূমিকন্যা। এর আগে পড়াশোনার চাপে ছুটি কাটানোর সুযোগ পাননি। তাই সুযোগ পেয়েই এবার ছুটি কাটাতে জামবাদ গ্রামে এসেছে দেবদত্তা ও তার বাবা, মা। তাতেই খুশির জোয়ার জামবাদ গ্রামে।
গ্রামের বাড়িতে এসে দেবদত্তা মাঝি বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর গ্রামের বাড়িতে এসে তার ভীষণই ভাল লাগছে। কঠোর পরিশ্রম ও অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে তিনি এই সাফল্য অর্জন করেছেন। আগামী দিনে গবেষণা করতে চান তিনি। এতদিন পর গ্রামের বাড়িতে এসে তার খাবারের স্পেশাল মেনুতে ছিল ঠাকুমার হাতে মাছের মাথার তরকারি।’
আরও পড়ুন: একেই বলে কপাল! বাস থেকে নেমে ১২০ টাকা খরচ, তাতেই কোটি টাকা লাগল কৌশিকের, মাথা ঘুরে যাবে শুনলে
আড়শা পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি বিশ্বরূপ মাঝি বলেন, ‘শুধু জেলা নয় গোটা রাজ্যের গর্ব দেবদত্তা মাঝি। তাই তার গ্ৰামের বাড়ি আসার খবর পাওয়া মাত্রই বিশেষভাবে তাকে সংবর্ধিত করা হল।’ আগামী দিনে সে আরও অনেক বড় হোক আরও অনেক দূর এগিয়ে যাক সেটাই চান তারা। দেবদত্তা মাঝির এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আড়শা ব্লকের বিডিও গোপাল সরকার, আড়শা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিশ্বরূপ মাঝি আড়শা থানার ওসি বিশ্বজিৎ সরকার-সহ অন্যান্যরা। সকলের কাছে এত আদর আপ্যায়ন পেয়ে খুশি দেবদত্তা।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি