স্কুল গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন নূর আমিন, অসিত সেনগুপ্ত, শিশির পাল, ত্রিপথনাথ ভট্টাচার্য, অনিল সাহা। ঠিক সেই সময় প্রয়াত বলাইকৃষ্ণ রায়ের পুত্রদের আর্থিক সহযোগিতায় মূল বিদ্যালয়ের ভবন নির্মিত হয়। সেই কারণে বিদ্যালয়ের নাম রাখা হয় ইলামবাজার বলাইকৃষ্ণ রায় স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়। ওই সময় একতলা দালান ঘরের মধ্যেই অল্প সংখ্যক ছাত্রী ও শিক্ষিকা নিয়ে শুরু হয় শিক্ষাদান পর্ব। পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে ২০০৪ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয় উন্নীত হয় স্কুলটি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ডিপ ফ্রিজে বরফ জমে জমে পাহাড়! ফ্রিজে কেন জমে ‘বরফ’? জানুন সহজ ‘টোটকা’, মুহূর্তে গলে সাফ
২০১১ সালে স্কুলটি উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কলা বিভাগের পাঠদানের অনুমতি পায়। পরবর্তীকালে ২০২৩ সালে বিজ্ঞান বিভাগও চালু হয়। ইলামবাজার ব্লকের মধ্যে একমাত্র বালিকা বিদ্যালয় এই প্রতিষ্ঠান। অজয় তীরবর্তী পশ্চিম বর্ধমান জেলার বহু ছাত্রী এই স্কুলে পড়াশোনা করে। স্কুলে ল্যাবরেটরি, কম্পিউটার থেকে শুরু করে উন্নতমানের শ্রেণিকক্ষ, কন্যাশ্রী ক্লাব গড়ে তোলা হয়েছে। স্কুলে প্রজেক্টর ও ইন্টারনেটের মাধ্যমেও পড়ুয়াদের নিয়মিত ক্লাস করানো হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এই স্কুল থেকে ৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছে স্কুলের অনেকে ছাত্রী।
আরও পড়ুনঃ অবশেষে খুলল ডুয়ার্সের ‘এই’ গেট, পর্যটকরা এখানে যা দেখতে পান, আজীবন মনে থেকে যায়
শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধূলায় স্কুলের ছাত্রীরা যথেষ্ট পারদর্শী। বাল্যবিবাহ রোধ, স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে সচেতন ছাত্রীরা। স্কুলের পরিচ্ছন্নতায় ‘নির্মল বিদ্যালয়’ হিসেবে নির্বাচিত হয়। মহকুমাস্তর থেকেও পুরস্কৃত স্কুলটি। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা পার্বতী দাস বলেন, “প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়েদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে আমরা দিনরাত এক করে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শুধুমাত্র পুঁথিগত শিক্ষায় নয়, প্রযুক্তিগত শিক্ষাতেও মেয়েদের পারদর্শী করা হচ্ছে।” এই স্কুলে পড়াশোনা করে মেয়েরা আগামীদিনে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশাবাদী সকলে।