বর্তমান সময়ে মরশুমি বিভিন্ন শাকসব্জি এই বিদ্যালয়ে কিচেন গার্ডেনে চাষ করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই বাগানের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের শাক এবং উপকারী বিভিন্ন সবজি যেমন গাজর, ফুলকপি, ব্রকলি, টমেটো, আলু, পেঁয়াজ এবং বেগুন ফলানো হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম পোদ্দার জানান, বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা এই কিচেন গার্ডেন তৈরি করার ফলে অনেকটাই খুশি। স্কুলে এসে ফাঁকা সময় তারাও এই বাগানের পরিচর্যার কাজে মেতে উঠছে। এ ছাড়া এই বাগানে চাষ করা বিভিন্ন শাকসবজি মিড ডে মিলে বাচ্চাদের খাওয়ানো হচ্ছে। সম্পূর্ণ ভেষজ উপায় রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে এগুলি চাষ করা হচ্ছে।
advertisement
শাকসব্জির ফেলে দেওয়া অংশ থেকে জৈব সার তৈরি করে তা এখানে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়াও এই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক অনুপ আচার্য বলছেন, "মরশুমি বিভিন্ন শাকসব্জি চাষ করে তা বাচ্চাদের মিড ডে মিলে খাওয়ানো হচ্ছে। ফলে খাবারের পুষ্টিগুণ অনেকটাই বেড়ে উঠেছে। বাচ্চারা যথেষ্ট উৎসাহের সঙ্গে এই বাগান পরিচর্যার কাজে মেতে উঠেছে।"
আরও পড়ুন: কলকাতা বইমেলায় হাজির বহুরূপী! কী করছেন তিনি
আরও পড়ুন: চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত মা ও সদ্যজাত, হাসপাতালে ঝাঁপিয়ে পড়লেন আত্মীয়রা
সব মিলিয়ে কোচবিহার জেলায় কিচেন গার্ডেন প্রকল্প অন্যান্য বিদ্যালয়গুলির কাছে নিদর্শন হয়ে উঠেছে। তবে এই বিদ্যালয়ের কিচেন গার্ডেনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়কে পরামর্শ দিচ্ছেন লক্ষ্মীকান্ত বর্মন। তিনি কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা মহকুমা এলাকায় বিশেষ ভাবে পরিচিত মৎস পাগল ব্যক্তি হিসেবে। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন ধরনের চাষ করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে পারদর্শী। তবে কোচবিহার জেলায় কিচেন গার্ডেনের ক্ষেত্রে নজরকাড়া সাফল্য এনেছে এই বিদ্যালয়।
সার্থক পণ্ডিত