এদিকে পান্ডার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে প্রজননের ব্যবস্থা করে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। তারা তোপকেদারা প্রজনন কেন্দ্রে পান্ডাদের রেখে দেন। সেখানেই পান্ডারা শাবক প্রসব করে থাকে। এবছর গত আড়াই মাসের মধ্যে মোট ৬টা শাবক প্রসব করেছে তিনটি পান্ডা। সুনীতা, প্রসন্ন ও কর্মার এই ৬শাবক নিয়ে এখন মোট ২৯টি রেড পান্ডা রয়েছে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায়। তবে তাদের এখনও লিঙ্গ নির্ধারণ করা হয়নি। তিনমাস পরে এই ৬শাবকের লিঙ্গ নির্ধারণ করা হবে। এই ৬টা ছাড়া যে বাকি ২৩টা পান্ডা রয়েছে তাদের মধ্যে ৬টা পুরুষ ও ১৭টা মহিলা পান্ডা রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ অবশেষে পর্যটকদের জন্য সুখবর ! দার্জিলিঙে পাহাড়ি পথের ধস সারিয়ে পাকদণ্ডী বেয়ে ফের ছুটল টয় ট্রেন
১৯ বছর পর চলতি বছরেই চারটে পান্ডাকে তোপকেদারা জঙ্গলে ছাড়া হয়েছে। তাদের নাম হলো স্মাইল, শিফু, ইশে ও নোয়েল। এছাড়া পরবর্তীতে আরও ৩টে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে তাদের জঙ্গলে ছাড়ার আগে চিড়িয়াখানায় ছাড়া হয় যাতে তারা পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। এর বাইরে সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্কেও আগে প্রচুর রেড পান্ডা ছাড়া হয়েছে। তাদের গলায় রেডিও কলার লাগানো হয়েছে। গতিবিধির ওপর নজরদারি চালানোর জন্য।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের উদ্যোগে পাহাড় ও সমতলে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহ
তবে পান্ডাদের প্রজনন আগামীতেও চলবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এপ্রসঙ্গে দার্জিলিং চিড়িয়াখানার অধিকর্তা বাসবরাজ হোলাইচি বলেন, "এখানে পান্ডা ছাড়াও স্নো লেপার্ড, তিবেতিয়ান নেকড়ে, হিমালয়ান স্যালাম্যান্ডার সহ আরও অনেক প্রানীর প্রজনন করানো হয়। আর পান্ডা তো এবছর ৬টা শাবকের জন্ম দিয়ে নতুন রেকর্ড করেছে। একই বছরে এত শাবকের জন্ম আগে হয়নি।“
Anirban Roy