যদিও বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা জানান, বালুরঘাট থানার ও ট্র্যাফিক বিভাগের পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের সহযোগিতাতেই সেরা থানার শিরোপা মিলেছে। উর্ধতন কর্তাদের গাইডেন্স, পুরসভা ছাড়াও সহযোগিতা করেছেন বাসিন্দারাও। গত কয়েক বছরে বালুরঘাট থানায় বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ দিক থেকে আমূল বদল এসেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাইকের, ঘটনাস্থলেই মৃত বাইক আরোহী
ব্রিটিশ আমলে তৈরী বালুরঘাট থানা বহু ইতিহাস ও আন্দোলনের সাক্ষী। পুরনো বিল্ডিং ছেড়ে বছর কয়েক আগে নতুন ঝা চকচকে বিল্ডিং-এ থানা তুলে আনা হয়েছে। কিন্তু অতীতে থানা চত্বর ছিল আবর্জনায় ভরা। উদ্ধার করা মোটরবাইকে ভর্তি হয়ে থাকতো। থানায় আসা মানুষদের বসার জায়গা পর্যন্ত ছিল না। বাইরের রাস্তা থেকে থানার দিকে তাকালেই মানুষের একটা ভীতি কাজ করত।
কিন্তু এখন একেবারে আমূল বদলে গিয়েছে থানা চত্বর। চত্বরে গড়ে উঠেছে সুসজ্জিত মিউজিয়াম। এছাড়াও থানাতেই পুরনো জায়গা পরিষ্কার করে সেখানে শিশু উদ্যান গড়ে তোলা হয়েছে। শিশু উদ্যানে গ্রাম্য সবুজ পরিবেশ, খেলনা, ফোয়ারা ও বসার জায়গা করা হয়েছে। পার্কের দেওয়ালে কার্টুন চরিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও বালুরঘাট পুরসভার তরফে থানাতে আলো, ও বসার জায়গা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পণ্য পৌঁছেতে গিয়ে আর ফেরা হল না চালকের! কারণ জানলে চোখে জল আসবে
তাছাড়া থানাতেই আলাদা করে মহিলা হেল্প ডেস্ক, অভিযোগ লেখার জায়গা, পার্কিং-সহ নানা কাজ করা হয়েছে। আই লাভ বালুরঘাট লেখা ফলক লাগানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজ্য পুলিশের প্রতিনিধি দল ৫০০ টিরও বেশি থানা পরিদর্শন করেন। প্রথমে জেলা স্তর, এরপর রেঞ্জ বিভাগ, তারপর রাজ্য। সবেতেই ভাল ফল করে বালুরঘাট থানা। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই খুশির হাওয়া শহর জুড়ে।
সুস্মিতা গোস্বামী