উলের বা ফুলের রাখি, কিংবা রংবেরঙের কাগজের রাখি। এ সব এখন অতীত। এই বছরের রাখিতে নতুন চমক। বালুরঘাটের বাজারে এসেছে রুপোর রাখি। শহরের ডানলপ মোর এলাকার এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী বরাত নিয়ে এই রুপোর রাখি তৈরি করেছেন। ইতিমধ্যেই প্রায় সবগুলোই বিক্রি হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই রাখি কেনার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
advertisement
শহরের বাসস্ট্যান্ড চত্বর, সাধনা মোড়, টাউন ক্লাব, আন্দোলন সেতু এলাকা-সহ বিভিন্ন জায়গায় রাখি বিক্রির ধুম পড়েছে। কোথাও ময়ূর পালক লাগানো রাখি তো কোথাও পুঁতি দিয়ে কাজ করা রাখি। ছোট থেকে বড় আকারের সমস্ত রাখি এসব দোকানে মিলছে। প্রতি বছরই এসব দোকানে রাখির দেদার বিক্রি হয়।
প্রতিবার রাখিতে কিছুটা নতুনত্ব থাকলেও এ বছর শহরবাসীর নজর কাড়ছে রুপোর রাখি। কোনও রাখিতে রুপোর সঙ্গে রুদ্রাক্ষ দেওয়া, আবার কোনও রাখি হিরের মতো চকচকে পাথরখচিত। দামও সাধারণ মানুষের আয়ত্তের মধ্যেই। মাত্র ২৫০ টাকা দিয়েই এই রুপোর রাখি কিনতে পারছেন সকলে।
প্রসঙ্গত ,রুপোর রাখির একটু দাম বেশি হলেও কেনা ভালো। কারণ অন্য সব রাখি পরালে কিছুদিন পরেই তা সকলেই খুলে ফেলে। কিন্তু এই রাখি খুলতে মন চাইবে না। খুললেও তা ফেলে না দিয়ে সযত্নে রেখে দেবেন দাদা ও ভাইয়েরা।
আরও পড়ুন: রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের নির্মাণ, অটুট পাঁঠা বলি, কালীবাড়ির ইতিহাস জানলে শিউরে উঠবেন
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কে চাকরির নামে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা! কাঠগড়ায় হুগলির এক যুবতী
এই বিষয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী রঞ্জিত কর্মকার বলেন, “বালুরঘাটের এক ব্যক্তি আমাকে রুপোর রাখির ছবি পাঠায়। এই ছবি দেখার আগে রুপোর রাখি হয় আমার জানা ছিল না। সম্ভবত এই বছরই এই রাখির আমদানি হয়েছে। কিন্তু বালুরঘাটে কোনও দোকানে এমন রাখি নেই। হয়ত আগামীতে আসবে।তাই আমাকে বাইরে থেকে নিয়ে আসার অনুরোধ করা হয়। তারপরে আমি কলকাতায় খোঁজ চালাই। সেখান থেকেই রুপোর রাখি নিয়ে এসেছি। আর কয়েকটি অবশিষ্ট রয়েছে।”
প্রতি বছরই দোকানে একটু নতুন ধরনের রাখি দেখতে পাওয়া যায়। তবে এই বছর এই রুপোর রাখি নিশ্চয়ই সকলের নজর কারবে।
সুস্মিতা গোস্বামী