বালুরঘাটের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, আত্রেয়ী নদীতে বাঁধ তৈরি হওয়ার ফলে শহরের বেশ কিছু ওয়ার্ডের জলস্তর নাম থেকে শুরু করেছে। সেই কারণেই জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে। উল্লেখ্য, বালুরঘাট পুরসভার ৪ নম্বর ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে আত্রেয়ী নদীর দু’পারে তৈরি হচ্ছে বাঁধ। দু’মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট ওই বাঁধে কিছুটা জল ধরে রেখে বাকিটা ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ভাতার দাবিতে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বিক্ষোভ
এরফলে উজাল থেকে জল আসতে থাকলে, তা বাঁধের পাশে নির্মিত গেট দিয়ে ছাড়া হচ্ছে। ফলে নদীতে সব সময়ই জল থাকছে। নদী থেকে নালা বা খাল কেটে জল কোথাও না সরিয়ে নিলে নিম্ন ধারার দিকে জলের স্তর নামার কথা নয়। এই বিষয়ে বালুঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ড্যাম করেছে ঠিকই, কিন্তু নদী বিশেষজ্ঞদের কোনও পরামর্শ না নিয়ে এই কাজ করার ফলে এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। কারণ গতিশীল নদীর মধ্যে কোনও জায়গায় যদি জল বাধা প্রাপ্ত হয় তবে সেখানে জল ঘুরতে থাকে। এর ফলে নদী পাড়ে ভাঙন দেখা দিতে পারে।
বালুরঘাটবাসীর অভিযোগ, এই বছর অনেক সময় পাম্প চালিয়েও জল উঠছে না। জল এলেও তা অল্প আসছে। তাঁদের অভিযোগ, ‘লো ড্যাম’-এর কারণেই এটা হয়েছে। কারণ এবার শুখা মরসুমে নদীতে জল অন্য বারের থেকেও কম আছে। এর আগে এক হর্স পাওয়ার পাম্প দিয়ে জল উঠে আসতো। কিন্তু এবার দুই হর্সপাওয়ার মেশিন লাগানোর পরেও জল উঠছে না। এলাকার মানুষ মনে করছে, নদী বাঁধের কারণে নিম্ন অববাহিকায় জলের স্তর কমে যাওয়ার ফলে ভূগর্ভস্থ জল উঠতে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না করলে আগামী দিনে আরও বড় সঙ্কট তৈরি হবে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
সুস্মিতা গোস্বামী