অর্কিডের প্রতি ভালোবাসা ও গবেষণায় অভিভূত হয়ে ইতিমধ্যেই তাঁর সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন স্পেনের মাদ্রিদের রয়্যাল বোটানিক্যাল গার্ডেনের নির্দেশক ডঃ এস্টব্যান ম্যানরিক রিওল। ২০২৩ সালে লিঙ্ক এ বুক অফ রেকর্ডে আশিসবাবুর কথা ছাপা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: গোর্খাদের বিচিত্র ধান চাষের উৎসব টারি, আট থেকে আশি মেতে ওঠে কাদা খেলায়
advertisement
সেই অর্কিডপ্রেমী ও গবেষক আশিস কুমার রায় বালুরঘাটের খাদিমপুর গার্লস হাইস্কুলে আসেন এই বিষয়ে পড়ুয়াদের সচেতন করতে। ছাত্রীদের সামনে ডিজিটাল মাধ্যমে অর্কিড গাছের প্রয়োজনীয়তা বোঝান। নগরায়নের নামে পশ্চিমবঙ্গের তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চলে যে পরাশ্রয়ী অর্কিডের ধ্বংসলীলা চলছে তা ঠেকানো জরুরি বলে মন্তব্য করেন। গত ২২ বছর ধরে তিনি একক প্রচেষ্টায় বহু বিপন্ন অর্কিডকে সংরক্ষণ করে চলেছেন।
উদ্ভিদকুলে ছোট্ট অর্কিডের যে গুরুত্ব রয়েছে, তা এদিন পড়ুয়াদের তিনি বিস্তারিত জানান। বিলুপ্তপ্রায় পরাশ্রয়ী অর্কিড বাঁচানোর তাগিদ সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন বলে তিনি জানান। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে শিক্ষকরত্ন পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন আশিসবাবু। নেপাল বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের আয়োজনে কাঠমান্ডুতে আন্তর্জাতিক সেমিনারে তরাই-ডুয়ার্সের অর্কিডের বিপন্নতার কথা তুলে ধরেন। যা নজর কেড়েছে বিশ্বের একাধিক উদ্ভিদ বিজ্ঞানীর।
এই বিষয়ে আশিসবাবু বলেন, আমার মূল কাজ ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে। তাদের সজাগ করতে পারলেই এই ছোট্ট উদ্ভিদটি বেঁচে থাকবে। তার সঙ্গে আমাদের বাস্তুতন্ত্র ঠিক থাকবে। একবীজপত্রী উদ্ভিদের মধ্যে অর্কিডই সবচেয়ে উন্নত। অত্যাধিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়া নগরায়নের ফলে এই পরাশ্রয়ী উদ্ভিদের অস্তিত্ব বর্তমানে সঙ্কটের মুখে। সাধারণ মানুষের সচেতনার অভাবে তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই এই উদ্ভিদকে রক্ষা করার সচেতনতা গড়ে তুলতেই বিভিন্ন জায়গায় ছুটে চলেছি।
সুস্মিতা গোস্বামী