TRENDING:

Mat Industry : বাজারে তেমন চাহিদা নেই! তবুও মাদুর শিল্পকে আজও বাঁচিয়ে রেখেছেন এই মানুষরা

Last Updated:

আজও মাদুর তৈরি করে চলেছেন দেবনাথ পাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মালঞ্চা এলাকার বেশিরভাগ বাসিন্দাই বংশপরম্পরাকে প্রাধান্য দিয়ে আজও মাদুর শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দক্ষিণ দিনাজপুর : বংশপরম্পরায় আজও মাদুর তৈরি করে চলেছেন দেবনাথ পাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার। উল্লেখ্য,দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের গোপালবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মালঞ্চা এলাকার বেশিরভাগ বাসিন্দাই বংশপরম্পরাকে প্রাধান্য দিয়ে আজও মাদুর শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছে। পাশাপাশি, অক্লান্ত পরিশ্রম দ্বারা রোজগারের লক্ষ্যে প্রায় শতাধিক দেবনাথ পরিবারের শতাধিক সদস্যরা মাদুর তৈরি করে চলেছেন।তথাকথিতভাবে মাদুর তৈরি করে সেই আয়ের টাকায় সংসার চলে এই এলাকার শতাধিক পরিবারের।
advertisement

উল্লেখ্য, প্রতিবছর ফাল্গুন চৈত্র মাসে জমিতে পাতি ঘাসের চাষ করা হয়। আশ্বিন-কার্তিক মাসে সে ঘাস জমি থেকে কেটে বাড়িতে তোলা হয়। এরপর সেই ঘাস শুকিয়ে গেলে তা দিয়ে মাদুর কেটে মাদুর তৈরি করে বাজারজাত করে বাজারে বিক্রি করবার জন্য প্রস্তুত করে।

আরও পড়ুন ঃ সাধারণ মানুষদের সচেতন করতে ন্যাশনাল ওরাল হাইজিন ডে র‍্যালির আয়োজন

advertisement

জানা গেছে, অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ থেকে ছয়টি মাদুর সারাদিনে তৈরি করে। বেশ কয়েকটি মাদুর অর্থাৎ ১০ থেকে ১৫ টি মাদুর একসঙ্গে বোনা সম্পূর্ণ হলে পাইকার এসে সেই মাদুর পাইকারি দরে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা হিসেবে বিক্রি করা হয় বিভিন্ন হাটে বাজারে।

View More

বাজারে জিনিসের দাম অগ্নিমূল্য হওয়ার ফলে পাতি ঘাস চাষ করা, বা মাদুর তৈরি করা এখন বড় দুষ্কর হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি, কোনরকম সরকারি সহযোগিতা না পাওয়ায় খুবই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। পাশাপাশি এই মাদুর তৈরি করবার জন্য নানা রকম রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা হয়। যার দামও ব্যায়বহুল। বিশ্ব জুড়ে মেশিন দিয়ে তৈরি জিনিসপত্রের কাছে হাতে তৈরি করা শিল্পের টিকে থাকা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে।

advertisement

আরও পড়ুন ঃ দুয়ারে পুর-পরিষেবা! নাগরিকদের জন্য নয়া অ্যাপ চালু পুরসভার! জানেন কোথায়?

তথাকথিতভাবে মাদুর শিল্পকে বাঁচাবার জন্য দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বেশ কয়েকটি এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবার মাদুর শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছেন বংশ পরম্পরায় চলে আসা কার্যের মধ্য দিয়ে। যদিও যান্ত্রিকতার যুগে নিজের কাজের দক্ষতা এবং জীবিকার টানাপোড়েনে অনিশ্চিত হয়ে উঠছে কত মাদুর শিল্পীদের ভবিষ্যত।তা বলাই বাহুল্য।

advertisement

তারা বছরের পর বছর দীর্ঘদিন ধরে কাজ করলেও মেলেনি কোনরকম সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা। সরকার থেকে মিলেছে একাধিকবার প্রতিশ্রুতি। তবুও ওই এলাকার একাংশ মাদুর শিল্পীরা আজ ব্যর্থ। শোনা যায়, এই মাদুরের খ্যাতি ও কদর নাকি মুঘল সাম্রাজ্যেও কম ছিল না। এই কুটির শিল্প জায়গা করে নিয়েছে সারা বিশ্ব জুড়েই।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

সুস্মিতা গোস্বামী

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণ দিনাজপুর/
Mat Industry : বাজারে তেমন চাহিদা নেই! তবুও মাদুর শিল্পকে আজও বাঁচিয়ে রেখেছেন এই মানুষরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল