আরও পড়ুন: সুন্দরবনের সরকারি প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়াদের ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স!
প্রসঙ্গত, বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের ওয়েটিং রুম থেকে শুরু করে হাসপাতালের আনাচে কানাচে নানা জায়গায় রোগীর আত্মীয়দের অপেক্ষা করতে দেখা যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনে করছে, অপেক্ষারত রোগীর আত্মীয়দের অনেককেই এই উদ্যোগের মাধ্যমে বইমুখী করা যাবে। এতে রোগীর পরিজনদের মানসিক অবসাদ কাটবে। যেকোনও রকম মানসিক দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠার পক্ষে, ভুলে থাকার পক্ষে বই অপরিহার্য উপাদান। ওষুধের পরেই বইয়ের স্থান৷ এটা খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে।
advertisement
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের পুরনো সুপারের অফিসেই লাইব্রেরি কক্ষ গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। হাসপাতালের নিজস্ব উদ্যোগেই এই লাইব্রেরি গড়ে তোলা হবে। ইতিমধ্যেই বেশকিছু বই চলে এসেছে। ওই কক্ষে বসার জায়গাও করা হচ্ছে। পুরোটাই সিসিটিভিতে নজরদারি করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এই বিষয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ জানান, এখন মোবাইলের যুগ। তাই বই পড়ার আগ্রহ কমছে। কিন্তু বই পড়লে মানুষের অবসাদ কাটে। তাই হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয় পরিজনদের মানসিক অবসাদ কাটাতে আমরা একটা লাইব্রেরি খুলছি। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরাও অনেক সময় অবসাদে ভোগেন। তাঁদেরও বইমুখী করবার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি খুব তাড়াতাড়ি এই লাইব্রেরি খুলে দেওয়ার।
সুস্মিতা গোস্বামী