দক্ষিণ দিনাজপুরকে মাদক ও নেশামুক্ত করার লক্ষ্যে এদিন জেলা প্রশাসনিক ভবনে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা ও পুলিশ সুপার রাহুল দে’র উপস্থিতিতে বিশেষ বৈঠক হয়।
আরও পড়ুন: স্কুলের দেওয়ালে বড় বড় ফাটল! জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে পড়াশোনা
জানা গিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় মাদকের প্রবণতা রয়েছে। তাই সীমান্ত এলাকা থেকে জেলার সর্বত্রই মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ও কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। খুব দ্রুত এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেই জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা জানিয়েছেন।
advertisement
পাশাপাশি এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিস, বিএসএফ ও স্বাস্থ্য, জিএসটি ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তাঁদের নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামীতে সব দফতর একত্রে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করবে৷ নেশার বিরুদ্ধে প্রচার, অভিযান সহ নানা কাজ করবে এই দফতরগুলি। এছাড়াও সীমান্তে নেশার কারবার বন্ধ করতে উদ্যোগী প্রশাসন। ওই বৈঠকে নেশামুক্তি কেন্দ্র নিয়েও আলোচনা হয়। এছাড়াও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে গড়ে উঠেছে লাইসেন্সবিহীন নেশামুক্তি কেন্দ্র। জেলার এই বেসরকারি নেশামুক্তি কেন্দ্রগুলিকে প্রশাসনের আওতায় এনে নজরদারি চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
নেশামুক্তি কেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসা করতে আসা রোগীদের বিপদের আশঙ্কা বাড়ছে বলে বৈঠকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। বছরখানেক আগে এক রোগীর মৃত্যুও ঘটেছিল এমনই নেশামুক্তি কেন্দ্রে। এই বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, জেলায় সরকারি নেশামুক্তি কেন্দ্র নেই। তাই সরকারি নেশামুক্তি কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আমরা রাজ্যের কাছে প্রস্তাব দিয়েছি। পাশাপাশি, জেলায় যে সমস্ত বেসরকারি নেশামুক্তি কেন্দ্র আছে সেগুলিকে প্রশাসনের আওতায় এনে নজরদারি চালানো হবে।
এমনকি, জেলাকে মাদকমুক্ত করতে জেলার বিভিন্ন দফতর ও বিএসএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সীমান্ত এলাকা ও জেলার সর্বত্র মাদক বিরোধী প্রচার চালানো হবে।
সুস্মিতা গোস্বামী