প্রবীণ নাগরিকদের কথায় একটা সময় ভোট দিতে সকালে গিয়ে ফিরতাম বিকেলে। সকাল থেকে লম্বা লাইন পড়ত৷ আমাদের এই এলাকা আগে থেকেই শান্তিপূর্ণ৷ অন্য জায়গায় ঝুট ঝামেলার খবর মিললেও, আমাদের এখানকার যেকোনো বুথে তেমন কোনো বিশৃঙ্খলার খবর শোনা যেত না।আগেও শোনা যায়নি। এখনও শোনা যায় না। এবারে কি হবে তা অবশ্য আগে থেকে বলা মুশকিল। এবারেও শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট হবে। এটাই আশা রাখছি।
advertisement
আরও পড়ুন ঃ নতুন এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী বালুরঘাট পুরসভা
আগে ভোটের লাইনে দাঁড়াতে হলেও এখন অবশ্য আর লাইনে দাঁড়াতে হয় না। কারণ এখন প্রবীণ নাগরিকের তকমা গায়ে লেগেছে৷ ভোট দিতে আর পায়ে হেঁটেও যেতেও হয় না। পাড়ার ছেলেরা বয়স্কদের এক সঙ্গে টোটো করে ভোট দিতে নিয়ে যায়। এমনকি বুথে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এমনকি বয়স্ক মানুষদের জন্য পোস্টাল ব্যালেটেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
একাধিক এলাকায় গিয়ে প্রবীণ নাগরিকরা জানালেন দীর্ঘদিন ধরে বৃদ্ধভাতা পাচ্ছি। আগে ৫০০ করে পেতাম। এখন ১ হাজার টাকা করে পাই। প্রবীণ নাগরিকদের একটাই দাবি যে সমস্ত এলাকায় এখনো পর্যন্ত রাস্তা কিংবা জলের বন্দোবস্ত হয়নি সেগুলো ব্যবস্থা করতে হবে।
এবারে ভোটে একটাই দাবি বা আবেদন করেছি প্রার্থীদের কাছে। আমার বাড়ির সামনের মাটির রাস্তাটি ঢালাই করে দেয় যেন। সব দিকে ঢালাই রাস্তা থাকলেও আমার বাড়ির সামনে প্রায় ৫০ মিটার রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে মাটির। বর্ষার মধ্যে চলাচল করতে গিয়ে বেশ কয়েক বার পরে আহত হয়েছি। এই রাস্তাটির ব্যবস্থা করে দিলে খুন উপকৃত হব।
এখনো কিছু কিছু এলাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা সঠিকভাবে হয়নি বললেও চলে। সমস্ত এলাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দিলে গ্রামের সকলেই উপকৃত হবে। যারা ভোট চাইতে আসবে তাদের কাছে এই সমস্যা গুলির সমাধান করার দাবি জানাব। ভোট নিয়ে চারিদিকে যে অশান্তি হচ্ছে আমার এলাকায় যেন এই সব না হয় তার জন্য প্রত্যেক প্রার্থীর কাছে আবেদন করব।
সুস্মিতা গোস্বামী