জানা গিয়েছে, মাকনা বর্মন বিগত প্রায় কুড়ি দিন আগে কাজের উদ্দেশ্যে জম্মুতে যায়। সেখানে গিয়ে কাজ শুরু করবার কিছুদিন পর গাড়ির ধাক্কা লেগে গুরুতর জখম হন তিনি। এরপর অন্যান্য শ্রমিকরা স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে মাকনা দেবীকে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে।
advertisement
পাশাপাশি, মৃত ওই যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায়, গত ৩১ ডিসেম্বর স্থানীয় কিছু যুবকদের সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশে কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর গত সোমবার সন্ধ্যে নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের বালাজি জেলার রেনিগুনটা এলাকার রেল পুলিশ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, সজীবের পচাগলা মৃতদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে। তবে পরিবারের অভিযোগ তাকে খুন করা হয়েছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায়, মৃত ওই যুবকের পকেট থেকে আধার কার্ড উদ্ধার করে তদন্ত কারীরা। সেই আধার কার্ডের সূত্র ধরেই মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর মৃতদেহ টিকে পরিবারের সদস্যরা সনাক্ত করেন। এরপরেই হিলি থানার দ্বারস্থ হন পরিবারের সদস্যরা। মৃত ওই ব্যক্তির সঙ্গে গ্রামের একাধিক যুবক কাজ করতে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিল। তবে হঠাৎ করেই ওই যুবকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য বাড়ছে রীতিমতো।
অপরদিকে, মৃত মহিলা মাকনা বর্মনের পরিবার সহ গ্রামবাসীদের দাবি, এখানে কোনও কাজ না থাকার জন্য ভিন রাজ্যে কাজের সন্ধানে বহু মানুষ পাড়ি দিয়ে থাকে। রাজ্যজুড়ে কর্মসংস্থান নেই। যুবক যুবতিরা উচ্চ শিক্ষা অর্জন করার পরেও ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। ভিন রাজ্যে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করবার সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে।এখানে তেমন যদি কাজের সুযোগ সুবিধা থাকত তাহলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটত না।
এদিন কফিনবন্দি দেহ এলাকায় পৌঁছাতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পাশাপাশি পরিবারের পক্ষ থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সরকার যে সুযোগ সুবিধার উদ্যোগ নিয়েছে সেই সুবিধাগুলো যেন সঠিক সময়ে পাওয়া যায় তার আবেদন জানানো হয়েছে।
সুস্মিতা গোস্বামী