TRENDING:

Dakshin Dinajpur News: কৃষকের মেয়ের নজরকাড়া সাফল্য! হলেন বিজ্ঞানী, জেনে নিন তাঁর লড়াইয়ের গল্প

Last Updated:

Dakshin Dinajpur News: জানা গিয়েছে, রেখা ২০১৩ সালে বালুরঘাট ব্লকের বাদামাইল হাই স্কুল থেকে ৮৮.৬ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করেন রেখা। এরপর বালুরঘাট গার্লস স্কুল থেকে ৯২% নম্বর পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দক্ষিণ দিনাজপুর: সীমান্তবর্তী দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের চিঙ্গিশপুর গ্রামপঞ্চায়েতের কালিহা গ্রামের ২৫ এর তরুণী রেখা মাহাতো বনবিজ্ঞানী হওয়ার সুযোগ পেলেন। ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ ফরেস্ট্রি রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন পরীক্ষায় পাশ করে বনবিজ্ঞানী হওয়ার সুযোগ পেয়েছে সে। আগামীতে রেখা দেশের নানা প্রান্তের ফরেস্টের নানা রকমের গাছ নিয়ে গবেষণা করবেন।
প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে সুযোগ পেল বনবিজ্ঞানী হওয়ার 
প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে সুযোগ পেল বনবিজ্ঞানী হওয়ার 
advertisement

রেখা সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের রাবার বোর্ডে চাকরি পেয়েছেন। সূত্রের খবর, দেশের মধ্যে মোট ২৭ জন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ দিয়ে এই সুযোগ পেয়েছেন। তবে শুধুমাত্র বায়ো টেকনোলজি বিষয়ে চারজন পরীক্ষার্থী এই সুযোগ পেয়েছেন। তার মধ্যে রেখা অন্যতম। রেখার বাড়ি বালুরঘাট শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে। তাই লড়াইটা মোটেও সহজ ছিল না রেখার। ছোট বেলা থেকেই আত্মীয়ের বাড়িতে কিংবা ভাড়া বাড়িতে থেকে স্কুলের গণ্ডি পার করেছেন। বর্তমানে চাকরি সূত্রে তিনি আসামে থাকেন।  তবে খুব শীঘ্রই উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে অবস্থিত বায়োটেকনোলজি পদে বিজ্ঞানী হিসেবে জয়েন করবেন তিনি।

advertisement

রেখা মাহাতো বলেন, “ছোটবেলা থেকেই আমার বিজ্ঞানী হওয়ার শখ ছিল। গাছের প্রতি একটা আলাদা টান ছিল। তাই ছোটবেলা থেকেই কষ্ট করে পড়াশোনা করে এই জায়গায় এসেছি। আমার খুব ভাল লাগছে। আগামীতে গাছ নিয়েই গবেষণা করব। পাশাপাশি দেশের জন্যও কাজ করব।”

জানা গিয়েছে, রেখা ২০১৩ সালে বালুরঘাট ব্লকের বাদামাইল হাই স্কুল থেকে ৮৮.৬ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করেন রেখা। এরপর বালুরঘাট গার্লস স্কুল থেকে ৯২% নম্বর পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। পরে কল্যানীতে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এগ্রিকালচার নিয়ে গ্রাজুয়েশন করেন।এরপর দিল্লির ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল রিসার্স ইন্সটিটিউট থেকে এমএসসি করেন।

advertisement

View More

আরও পড়ুনঃ  ইলিশপ্রেমীদের জন্য সুখবর! ট্রলার ভর্তি ভর্তি ইলিশ ঢুকছে, দাম কি কমবে?

আরও পড়ুন : অর্পিতা… টাকা… গটআপ…! আদালত থেকে বেরিয়েই এ কী বললেন! বিস্ফোরক পার্থ চট্টোপাধ্যায়

রেখার বাবা বিষ্ণুপদ মাহাতো ও মা জয়ন্তী মাহাতো বলেন, “আমরা কৃষক পরিবারের হলেও খুব কষ্ট করে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করিয়েছি। আমাদের মেয়ে এত দূরে পৌঁছাবে কল্পনা করতে পারিনি। মেয়ের জন্য  খুব গর্ব হচ্ছে।” জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে পরীক্ষার দিয়ে ভারত সরকারের রাবার বোর্ডে চাকরি পান। কিন্তু বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পিছু হটেননি তিনি। ভাবা পারমাণবিক গবেষণাকেন্দ্রের বিজ্ঞানী হওয়ার পরীক্ষা দিয়েছিলেন রেখা। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলেও ইন্টারভিউতে পাশ করেননি। পরে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ ফরেস্ট্রি রিসার্চ এন্ড এডুকেশন পরীক্ষায় পাশ করে অবশেষে বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করলেন।এমন সাফল্যে গোটা জেলাবাসী খুশি ও গর্বিত।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুজো শেষ হতেই ঝাঁকে ঝাঁকে পদ্মার ইলিশ! জলের দরে টাটকা মাছ না খেলেই নয়
আরও দেখুন

সুস্মিতা গোস্বামী

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণ দিনাজপুর/
Dakshin Dinajpur News: কৃষকের মেয়ের নজরকাড়া সাফল্য! হলেন বিজ্ঞানী, জেনে নিন তাঁর লড়াইয়ের গল্প
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল