যার ফলে বেশি টাকায় অস্ত্রোপচার করাতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীরা, প্রতারিত হচ্ছেন। যা নিয়ে আগেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নজরদারি করেছে। তাই চিকিৎসা পরিষেবার উপর সাধারণ মানুষের আস্থা ফেরাতেই ওই নতুন পদক্ষেপের নাম ‘আস্থা’ রাখা হয়েছে। মূলত, অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন এমন রোগীকে পরীক্ষা থেকে শুরু করে অপারেশন থিয়েটারে পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়ার সমস্তটাই নজরদারি করবে ওই ‘আস্থা’ বিভাগ।
advertisement
আরও পড়ুন: রান্না-ফুল-ভালবাসা-বিয়ে এমনকী কম্পিউটার দেখেও ভয় পান অনেকে, রীতিমতো ‘ফোবিয়া’! বিশ্বাস করা কঠিন
ওই বিভাগ থেকেই অপারেশনের তারিখ দেওয়া হবে এবং অপারেশন হওয়া পর্যন্ত বিশেষ সহযোগিতা করা হবে। সাধারণ রোগীদের আস্থা ফেরাতেই এই আস্থা বিভাগ। যার দায়িত্বে থাকবে খোদ হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার ও ডেপুটি নার্সিং সুপাররা। এই নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে দালালদের হাত থেকে বাঁচবেন রোগীরা। তেমনই বিনামূল্যে সরকারি পরিষেবা পাবেন রোগী। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন: সম্পত্তির মালিকানা কীসে, মিউটেশন না রেজিস্ট্রেশন? সঠিক না জানলেই ঠকবেন!
বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে প্রতিদিন চিকিৎসা করতে আসেন হাজার হাজার মানুষ। বহির্বিভাগে রোগীরা ডাক্তার দেখানোর পরে নানা ধরনের পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হয়। এরপরেই নানা রোগ ধরা পড়ে। অনেকের গল্ফব্লাডার, হার্নিয়া, অ্যাপেন্ডিক্স, অস্থি-সহ নানা অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এরপর অস্ত্রোপচার করার কথা থাকলেও পরবর্তীতে সেই রোগীদের আর পাওয়া যায় না।
এদিকে প্রশাসনের তরফেও দালালচক্র রুখতে পুলিশ নজরদারি চালালেও হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের একটা বিরাট অংশের রোগীরা হারিয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আভ্যন্তরীণ রিপোর্ট নিয়েই রোগীদের চলে যাওয়ার কারণটি উঠে এসেছে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে সক্রিয় দালালচক্র। বিগত দিনে অ্যাম্বুল্যান্স চালক থেকে শুরু করে ব্লাড ব্যাঙ্কেও দালালচক্রের প্রমাণ মিলেছে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে শল্যবিভাগে সমস্যা থাকার অস্ত্রোপচারের মাত্রা কম ছিল। সম্প্রতি অস্ত্রোপচারের জন্য শল্যবিভাগের পরিকাঠামো বাড়ানো হয়েছে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিও আনা হয়েছে। তারপরেও দালালদের মাধ্যমে রোগী কমে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।
সুস্মিতা গোস্বামী