ট্রেন দুর্ঘটনার পর তাঁর পরিবারের লোকজন সুদুর ওড়িশা থেকে শুরু করে কলকাতা, সব জায়গায় ঘুরে বেরিয়েছেন। সেখানকার বিভিন্ন হাসপাতাল ও মর্গে খোঁজ করছেন। কিন্তু চন্দন রায় ও তাঁর আত্মীয়র কোনও খবর পাওয়া যায়নি আজও। তবে ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছেছে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু সংবাদ। অন্যদিকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উৎকণ্ঠা বাড়ছে চন্দনের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে।
advertisement
আরও পড়ুন: অভিশপ্ত করমণ্ডলের স্বপ্নে ঘুম নেই, কখনও অট্টহাসি, কখনও নীরব! হাসপাতালে এ কী ঘটছে
চন্দন রায় তাঁর আত্মীয়র সঙ্গে শ্রমিকের কাজ করতে কেরল যাচ্ছিলেন। ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরে উপার্জনের টাকা দিয়ে কিছুটা হলেও ছোট ছোট স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন বলে আশা করেছিলেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হল না।
আরও পড়ুন: রেল দুর্ঘটনার পর দেহ এল পরিবারের কাছে, কিন্তু রক্তমাখা আধার দেখে চমকে উঠল সকলে!
বাড়িতে স্ত্রী তাঁদের এক ছেলেকে নিয়ে স্বামীর প্রতীক্ষায় বসে রয়েছেন। দুর্ঘটনার আগের সন্ধ্যায় পরিবারের সঙ্গে টেলিফোনে শেষ কথা হয়েছিল চন্দনের। বাড়ির রোজগেরে সদস্য ফিরবেন এই আশায় পরিবার থেকে প্রতিবেশীরা।
এই বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা জুল্লুর রহমান বলেন, ‘‘আমরা খবর পেয়েছি। আমরা হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করে সব জানিয়েছি যে আমার গ্রামের ছেলে চন্দন রায়ের খোঁজ মিলছে না। যাঁর বয়স ৩৮ বছর। চন্দন রায়ের খোঁজ না পাওয়া গেলেও যেন তাঁর পরিবারের কথা মাথায় রেখে ট্রেন দুর্ঘটনার আর্থিক দিক থেকে সরকারি অনুদানটুকু দেওয়া হয়।’’
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বা ব্লক প্রশাসনের কাছে একাধিকবার আর্জি করেও কোনও রকম সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ চন্দন রায়ের পরিবারের। ওড়িশা-সহ বিভিন্ন জায়গায় চন্দন রায়ের পরিচয় পত্র নিয়ে হাজির হচ্ছেন তাঁর আত্মীয়রা। কিন্তু এখনও খোঁজ মেলেনি তাঁর। যত সময় গড়াচ্ছে, উদ্বেগ যেন ততই বাড়ছে।
সুস্মিতা গোস্বামী