সেই অ্যাম্বুলেন্সে করেই প্রসূতি মাকে চিকিৎসার জন্য আনা হয় তপন গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু প্রসূতির গর্ভের সন্তানকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এ দিকে আশাকর্মীর কারণেই বাঁচে মায়ের প্রাণ। তাই সেই আশাকর্মীকে সংবর্ধিত করলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ দাস।
আরও পড়ুন: চুম্বক দিয়ে নদী থেকে পয়সা তুলছে শিশুরা! গোটা ঘটনা জানলে চোখে জল আসবে!
advertisement
আরও পড়ুন: শিক্ষক দিবসে বাটি হাতে, হাওড়া স্টেশনে ভিক্ষা করছেন শিক্ষকরা! কারণ জানলে চমকে যাবেন
প্রসঙ্গত, ওই এলাকার এক প্রসূতি মহিলার প্রসব বেদনা উঠলে সরকারি মাতৃযান বা ১০২ অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন স্থানীয় আশাকর্মী সুমিত্রা উরাও। এমনকি যোগাযোগ করলেও কেউ আসতে রাজি হয়নি বলেই অভিযোগ। যার কারণে প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ হেঁটেই ওই মহিলা বিএসএফ ক্যাম্পে গিয়ে সাহায্য চান। পাশাপাশি, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন বিএসএফ জওয়ানরা। তাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে ওই প্রসূতিকে হাসপাতালে নিয়ে এলে তার জীবন বেঁচে যায়।
প্রথম দিকে অনেকটাই দেরি হয়ে যাওয়ায় মাতৃজান আসতে রাজি না হওয়ায় ওই প্রসূতির সন্তানের মৃত্যু হয়। তবে সুমিত্রা দেবীর এমন কর্মে বাহবা জানায় স্বাস্থ্য মহল থেকে শুরু করে সকলে। তার এই কার্যকলাপ সমাজের প্রত্যেককে নতুন ভাবে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
সুস্মিতা গোস্বামী