কোচবিহার কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রাণী বিজ্ঞানী ডঃ রাহুল দেব মুখার্জি জানাচ্ছেন, "বর্তমান সময়ে কোচবিহার কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের সহায়তায় এই চাষ করে দেখানো হচ্ছে সকলকে। এখানে পাখির বাচ্চা উৎপাদন বা ব্রিডিং কেন্দ্র করা হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এবং এই চাষে আগ্রহী ব্যক্তিরা এখান থেকে পাখির বাচ্চা কিনে নিয়ে যেতে পারবেন। এই চাষ করতে খুব একটা বেশি সময় কিংবা খুব একটা বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। স্বল্প জায়গায় এবং স্বল্প খরচে এই চাষ করা সম্ভব। এবং এই চাষ করার মাধ্যমে যে কোন ব্যক্তি আর্থিকভাবে অনেকটাই স্বনির্ভর। বাড়িতে অন্যান্য কাজের মধ্যেই কিছুটা সময় দিয়ে এই চাষ করতে পারবেন যে কেউ। বিশেষত বাড়ির মহিলারা এই চাষাবাদের মাধ্যমে অনেকটাই আর্থিক উপার্জন করতে পারবেন।"
advertisement
আরও পড়ুন: মহিলারা সহজেই শুরু করতে পারেন এই সব ব্যবসা! খুলে যাবে দুর্দান্ত উপার্জনের পথ!
এই পাখিদের খাদ্য মূলত বাড়িতে ব্যবহার্য খাওয়ার জিনিস। যেমন ভাত, সেদ্ধ গম, ছোলা। এছাড়াও ঘাসের বীজ দেওয়া যেতে পারে এই পাখিদের। মূলত পাখির ব্রিডিং এর জায়গাটি নেট দিয়ে তৈরি করতে হবে। যাতে কোনরকম পোকামাকড় এর ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে। এবং পাখির কোনো রকম ক্ষতি না হয়। এছাড়া পাখির ব্রিডিং এর জায়গাটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যাতে পাখির কোন রকমের ইনফেকশন না হয়। এছাড়া এই পাখিগুলির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বেশি। তাই সহজে এই পাখি গুলির খুব একটা রোগ হতে দেখা যায়না। এছাড়া এই পাখিগুলি ব্রিডিং এর ক্ষেত্রে মাটির কলসি কিংবা মাটির ভাঁড়ব্যবহার করতে হয়।
আরও পড়ুন: লাম্পসাম ইনভেস্টমেন্ট কী, কীভাবে কাজ করে? জেনে রাখলে বিনিয়োগে লাভই লাভ!
সব মিলিয়ে এই পাখি চাষের ক্ষেত্রে খুব একটা বেশি সমস্যা হয় না। বাড়ির মধ্যে স্বল্প জায়গায় স্বল্প পরিশ্রমে এই পাখি চাষ করা খুব সহজেই সম্ভব। প্রাথমিক অবস্থায় ১০০টি পাখি মানে ৫০ জোড়া পাখি নিয়ে এই চাষ শুরু করা যেতে পারে। এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণবিষয়টি হল এই পাখি চাষ করতে নির্দিষ্ট কিছু নিয়মাবলী মেনে চললেই এর থেকে ব্যাপক লাভ করা সম্ভব। বছরের বিশেষ সময় যখন পাখিগুলি ডিম দেয়। সেই সময় এই মাটির ভার বা কলসি ব্যবহার করতে হয়। এবং বাকি সময়ে এই মাটির ভার বা কোলসির খুব একট প্রয়োজন হয়না। টিনের কিংবা খড় এর ছাউনি দিয়ে এবং নেট ব্যবহার করে এই পাখির উৎপাদন কেন্দ্র খুব সহজে তৈরি করা সম্ভব।
Sarthak Pandit