কোচবিহারের এককালীন একপুরুষ রাজত্ব করা রাজা কান্তেশ্বরের রাজবাড়ী ছিল এই গড় এলাকায়। সেই ঐতিহাসিক স্থানকে কেন্দ্র করেই এখানে এই পার্কটি স্থাপন করা হয়। তবে বর্তমানে এখানে আর কোনও রাজবাড়ির চিহ্ন চোখে পড়ে না। কারণ, কথিত আছে রাজার মৃত্যুর পড়ে সেই সম্পূর্ন রাজবাড়িটি মাটির নিচে চলে গিয়েছে। তবে এখানে অসখ্য উচুঁ মাটির ঢিবি রয়েছে। আর এগুলিকেই এখানে গড় বলে চিহ্নিত করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নাচ-গান থামল মুহূর্তে, পিকনিক সেরে ফেরার পথে উল্টে গেল বাস! মৃত্যু, যন্ত্রণা, হাহাকার...
কান্তেশ্বর ইকো ট্যুরিজম পার্ক:
আরও পড়ুনঃ ইউটিউবার কিশোরীর ৫ তলা থেকে মরণঝাঁপ, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা, চেনেন কিশোরীকে?
পার্কের প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা। এখানে অনলাইন টিকিট কাটার কোনও ব্যবস্থা নেই। পার্কের গেটের সামনেই টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে এখানে প্রবেশ করতে হয়। এ ছাড়া যানবাহন নিয়ে আসলে সেটার আলাদা সামান্য কিছু টাকা দিতে হয়। এখানেই পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও করা রয়েছে। এ ছাড়া কেউ পিকনিক করতে চাইলে পার্কের কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা ব্যবস্থা করে দেন। পার্কে রয়েছে বাচ্চাদের জন্য প্রচুর খেলার সরঞ্জাম, এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পশুদের মুর্তি। যেগুলি দেখলেই বাচ্চারা খুশি হয়ে উঠবে এক নিমেষেই। সারা দিন বাচ্চারা আনন্দের সঙ্গে কাটাতে পারবে পার্কের মধ্যে।
এখানে শীতের সময় মূলত ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসের মধ্যের সময়ে প্রচুর পর্যটকেরা ঘুরতে আসেন দূর-দূরান্ত থেকে। কেউ আসেন শুধুমাত্র এই জায়গাটি ঘুরে দেখে এখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে। আবার কেউ আসেন বাড়ির লোকেদের নিয়ে পিকনিক করতে। জেলার মানুষেরাই নয়, বাইরে থেকেও প্রচুর মানুষেরাও এখানে ঘুরতে আসেন।
যে কোনও সময়েই এই কান্তেশ্বর ইকো-ট্যুরিজম পার্কে আসলে আপনি কাটাতে পারবেন দারুন কিছু সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত। শীতের ছুটির দিনের একটি সুন্দর ডে আউট জায়গা হিসেবে এই জায়গাটি সত্যি দারুন হতে পারে।
Sarthak Pandit