দীর্ঘ সময় ধরে কোচবিহার শহরের ফুসফুস রূপে চিহ্নিত এই শাল বাগান। শহরের মধ্যে এমন একটি শান্ত এবং নিরিবিলি জায়গা সকলেরই পছন্দের। এখানে আজও পাখির ডাক শুনতে পাওয়া যায়। এছাড়াও দিনের বেলাতেও এখানে শিয়াল ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। বছর পাঁচেক আগে এই শালবাগানকে আরও ঘন করতে এখানে বেশ কিছু চারা গাছ লাগানো হয়েছিল। ইতিমধ্যেই সেই গাছগুলি অনেকটাই বড় হয়ে ওঠে। কিন্তু সেই আনন্দ ৩০০ গাছ কাটার সংবাদে অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছে।
advertisement
শাল বাগান থেকে এত বিপুল পরিমাণে গাছ কেটে নেওয়ার কারণে রীতিমত ক্ষুব্ধ পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলো। কোচবিহারের পরিবেশকর্মী অর্ধেন্দু বণিক বলেন, দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর আগে এই শাল বাগানে বেশ অনেকগুলি গাছ লাগানো হয়েছিল। এই গাছ গুলির সুরক্ষা দেওয়ার জন্য নিয়মিত বন দফতরের কর্মীরা পাহারা দিতেন এখানে। তবে হঠাৎ করেই বনকর্মীরা লক্ষ্য করেন তিনশোর বেশি গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে। তবে এত বিপুল পরিমাণে গাছ কীভাবে কেটে নেওয়া হল? এবং সেটা কেনো বনকর্মীদের নজরে এল না সেই প্রশ্ন তোলেন অর্ধেন্দুবাবু।
আরেক পরিবেশকর্মী রকি সূত্রধর বলেন, বছর পাঁচেক আগে গাছ লাগানোর পর বন দফতরের কর্মীরা বেশ ভালই রক্ষণাবেক্ষণ করছিলেন। হঠাৎই এই গাছ কাটার বিষয়টি নজরে এসেছে। পরিবেশকর্মী এবং এলাকার সচেতন মানুষদের অনুমান, এই গাছ কাটার সঙ্গে বড় পাচার চক্র নয় বরং স্থানীয় বাসিন্দারা জড়িত। জ্বালানির কাঠ করবেন বলে তাঁরা এই গাছগুলি কেটে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে গোটা বিষয়টায় বনকর্মীদের গাফিলতি নিয়ে সরব হয়েছেন অনেকে।
সার্থক পণ্ডিত