TRENDING:

Weekend Tour|| আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে পর্যটনের মেলবন্ধন, বানেশ্বর শিব মন্দিরের ইতিহাস রোমহর্ষক

Last Updated:

Weekend Trip to Baneswar Shiv Temple: রাজ আমলের অনেক মন্দির ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সমগ্র কোচবিহার জেলা জুড়ে। কোচবিহারের এই সমস্ত রাজ আমলের মন্দির গুলির মধ্যে অন্যতম একটি ঐতিহাসিক মন্দির হল ‘বানেশ্বর শিব মন্দির’।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কোচবিহার: রাজ আমলের অনেক মন্দির ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সমগ্র কোচবিহার জেলা জুড়ে। কোচবিহারের এই সমস্ত রাজ আমলের মন্দির গুলির মধ্যে অন্যতম একটি ঐতিহাসিক মন্দির হল ‘বানেশ্বর শিব মন্দির’। বর্তমানে এই বানেশ্বর শিব মন্দির একটি রাজ্য সংরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ হয়ে গিয়েছে। এই মন্দিরে ভগবান শিব পূজিত হয়ে আসছেন বহুদিন ধরে।
advertisement

১৮৯৭ সালের একটি ভূমিকম্পের সময় মন্দিরটি পূর্ব দিকে সামান্য হেলে পড়েছিল। এখনও মন্দিরটি ঠিক একই ভাবে রয়েছে। যদিও বর্তমানে এই মন্দিরের সমস্ত কাজকর্ম দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে কোচবিহার দেবত্বর ট্রাস্ট বোর্ড।

বানেশ্বর শিব মন্দিরের গুগল ম্যাপ লিঙ্ক: 

কোচবিহার বানেশ্বর শিব মন্দির।

advertisement

View More

মন্দিরের প্রতিষ্ঠা: এই মন্দির প্রতিষ্ঠার কোন সঠিক সময় পাওয়া যায়নি।তাই মন্দিরের প্রতিষ্ঠার বিষয় নিয়ে প্রচুর দ্বিমত রয়েছে। তবে কোচবিহারের প্রবীণ মানুষেরা মনে করেন। কোচ রাজবংশের মহারাজা নর নারায়ণ এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার পরবর্তীকালে কোচবিহার রাজ্যের মহারাজা প্রাণ নারায়ণ এটিকে সংস্কার করেছিলেন। তবে এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠার সাথে অসুর সমাজের বানাসুরের নাম ও জড়িয়ে রয়েছে শুনতে পাওয়া যায়।

advertisement

আরও পড়ুনঃ চায়ের কাপে তুফান তুলে আড্ডা-গানে মজে নয়া প্রজন্ম, পুরুলিয়ায় হাজির এমবিএ চাওয়ালা

মন্দিরের দেবতারা: বানেশ্বর মন্দিরের প্রধান দালান থেকে ১০ ফুট নীচে, মন্দিররের গর্ভগৃহে রয়েছে ‘শিব লিঙ্গ’ এবং একটি 'গৌরিপাট' রয়েছে। প্রধান মন্দিরের ডানদিকে সিমেন্টের তৈরি একটি ষাঁড় রয়েছে। মন্দিরের উত্তর দিকে একটি টিনের চালাঘরে শিব ও অর্ধনারীশ্বরের মূর্তি রয়েছে। অন্য শেডে একটি কালী মূর্তি সহ আরও কিছু মূর্তিও রয়েছে।

advertisement

মন্দিরের খোলার সময় এবং পুজোর সময়: সকালে ৮-টায় খুলে দেওয়া হয় মন্দির প্রাঙ্গণ। এবং মন্দির বন্ধ করা হয় রাত ৮-টার সময়। সকালে পূজো শুরু করা হয় সকাল ৯-টার সময়। দুপুরে মন্দিরে ভোগ আরতী করা হয়। এবং সন্ধ্যে বেলায় সন্ধ্যে আরতি করা হয় ৬-টার সময়।

আরও পড়ুনঃ বাঁকুড়া রাজগ্রামের পরিচিতি তাঁতের গামছায়, জানে কেমন সেই গামছা? দেখে নিন

advertisement

মন্দিরের পুজোর নিয়মাবলী: এখানে অনলাইন কোন পূজোর ব্যবস্থা এখনও পর্যন্ত চালু করা হয়নি। তবে এখানে পূজো দেওয়ার নিয়ম হল। মন্দির চত্বর থেকে যে ভোগের কুপন বিতরণ হয়। সেটা সংগ্রহ করে নিয়ে ভোগ নিবেদন করতে হবে দেবতাকে। এই কুপনের মুল্য ১০ টাকা মাত্র। এছাড়া অন্য আর তেমন কোন বিশেষ নিয়ম নেই মন্দিরের।

মন্দিরের সব থেকে বড় উৎসব: শিব চতুর্দশীর সময় একটি সপ্তাহব্যাপী মেলা বসে এই মন্দির এলাকায়। এছাড়া সেরকম আর কম বড় উৎসব লক্ষ্য করা যায় না।

মন্দিরের অন্যান্য বৈশিষ্ট্য: এ ছাড়া প্রধান মন্দিরের ঠিক পাশেই রয়েছে একটি বড় পুকুর। যেখানে অনেকগুলি কালো সফটশেল কচ্ছপ আছে। এই কচ্ছপ গুলি স্থানীয়ভাবে 'মোহন' নামে পরিচিত। এখানে এদেরকে খুব পবিত্র মনে করা হয় এবং এদের পুজোও করা হয়। আগে পুকুরের ঘাটের কাছে গিয়ে মোহন বলে ডাক দিলে দেখা পাওয়া যেত এদের। তবে বর্তমানে ঘিরে দেওয়া হয়েছে সম্পূর্ণ পুকুরটি। কিন্তু, দূর থেকেও এদের দেখতে পাওয়া যায় মাঝে মাঝে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

Sarthak Pandit

বাংলা খবর/ খবর/কোচবিহার/
Weekend Tour|| আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে পর্যটনের মেলবন্ধন, বানেশ্বর শিব মন্দিরের ইতিহাস রোমহর্ষক
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল