কোচবিহারের এক পুরোহিত অচিন্ত্য ঠাকুর জানান, “হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী যখন সূর্য এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে গমন করেন, তখন সেই দিনটিকে বলে সংক্রান্তি। এক বছরে সাধারণ ভাবে সূর্য ১২ মাসে ১২টি রাশিতে গমন করেন। সেই কারণে বছরে ১২টি সংক্রান্তি থাকে। কিন্তু যে মাসে কোনও সংক্রান্তি থাকে না, তখনই অধিক মাস বা মলমাস যুক্ত হয়। এই অধিক মাসে যেহেতু কোন পালনীয় তিথি বিদ্যমান থাকে না। তাই এই মাসে কোন বৈদিক কর্মকাণ্ড হয় না। সেই জন্যই একে মলিন মাস বা মল মাস বলা হয়। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে ২০২৩ সালে মলমাস চলবে ১৮ জুলাই থেকে ১৬ অগাস্ট পর্যন্ত। প্রতি ৩২ মাস এবং ১৬ দিন পর পর একটি করে মলমাস আসে। অর্থাত্ প্রতি তিন বছরে একবার মলমাস দেখতে পাওয়া যায়।”
advertisement
আরও পড়ুন: ৭ হাজারে শুরু! এখন দিনে ১৪ হাজার! এ কেমন ‘ফালতু চা’! মুখে দিলেই ভাইরাল!
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, “একই মাসে দু’টি অমবাস্যা তিথি পরলেও সেটিকে মলমাস বলা হয়। ‘মল’ শব্দের অর্থ অশুভ। এই মাসটি সমস্ত প্রকার কর্মশূন্য। তাই এই মাসটি কৃষ্ণ নাম করার জন্য উপযোগী। বছরেরর এই অতিরিক্ত মাসটি ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে নিবেদিত করা হয়। সেই কারণে মলমাসে নারায়ণ পুজো করা হয়ে থাকে। গ্রহশান্তি, দানধ্যান, তীর্থযাত্রা ও বিষ্ণু মন্ত্রোপাঠ মলমাসে করা অত্যন্ত শুভ। এর ফলে মলমাসের অশুভ প্রভাব খর্ব করা সম্ভব হয় এবং শুভ ফল পাওয়া যেতে পারে। মলমাসে যিনি দেবতার আরাধনা করেন, তাঁকে আশীর্বাদ করেন শ্রীবিষ্ণু, তাঁর সব দুঃখ কষ্ট দূর করে মনের ইচ্ছে পূরণ করেন ভগবান শ্রীবিষ্ণু। তাই মলমাস একদিক থেকে অশুভ হলেও অন্যদিকে শুভ।”
Sarthak Pandit