Viral News: ৭ হাজারে শুরু! এখন দিনে ১৪ হাজার! এ কেমন 'ফালতু চা'! মুখে দিলেই ভাইরাল!

Last Updated:

Viral News: ফালতু চা! ৭ হাজার থেকে শুরু! এখন দিনে ১৪ হাজার আয়! মুখে দিলেই ভাইরাল কেন? জানুন

+
title=

হাওড়া: ফালতু চা! ৭০০০ টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করে প্রতিদিন ১৪ হাজার টাকা উপার্জন। নোট বন্দি বদলে দিয়েছে চা বিক্রেতা নাসিরের জীবন। জরির কারিগর থেকে একজন বিখ্যাত চা দোকানি হয়ে ওঠার গল্প। এ যেন এক গল্প কথা, মনে হবে সিনেমার কাহিনি। চরম অর্থ সংকট কাটিয়ে চা দোকানের উপর ভর করেই ছন্দে ফিরেছে নাসিরের জীবন। কয়েক বছর আগে হতাশা গ্রাস করেছিল নাসিরকে। বহু চেষ্টা করেও কোথাও মাথা গুঁজে কাজ করার সুযোগ মেলেনি। সংসারে অচল অবস্থা। কিছু না পেয়ে অল্প পুঁজিতে চা ব্যবসা শুরু করেই জীবনের মোড় ঘুরে যায়।
কয়েক বছর আগে রাতারাতি নোট বন্দি। দুর্নীতি দমনে তড়িঘড়ি এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। প্রভাব পড়েছিল দেশের প্রায় সর্বস্তরের মানুষের উপর। গ্রাম বা শহরের মানুষ কেউ রক্ষা পায়নি। আজও অভিযোগের সুর শোনা যায় মানুষের গলায়। এর প্রভাবে হাওড়া জেলায় বেশ কিছু শিল্পে পড়ে। ফলে মানুষের রুটি রুজি বন্ধ হয়ে যায়। জেলার বহু মানুষ জরি শিল্পের উপর নির্ভর করতেন। কোনরকমে টিকে রয়েছে এই শিল্প। যদিও নোট বন্দির আগে থেকেই দুরাবস্থা জরি শিল্পীদের।ক্ষতিগ্রস্ত হয় জরির কাজের ব্যবসা। বহু মানুষ হয়ে যায় কাজ হারা। এই কাজে যুক্ত থাকা নাসিরের ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই সময়। হঠাৎ উপার্জন বন্ধ হওয়ার ফলে দরুন সমস্যায় পড়তে হয়েছিল জানান, নাসির।
advertisement
পরিবার নিয়ে দারুণ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। টানা কয়েক মাস কাজ হারা হয়ে থাকা। চেষ্টা করেও কোন কাজ মেলেনি। ব্যবসা করতেও প্রয়োজন পুঁজি। কিছু না পেয়ে সামান্য কিছু পুঁজিতে চায়ের দোকান খোলে। কঠোর পরিশ্রমে কয়েক পর চায়ের দোকান ফুলে ফেঁপে উঠেছে। বর্তমানে দূর দূরান্তে ‘ফালতু চা’-এর সুনাম ছড়িয়েছে। হাওড়ার খাঁদারঘাট মানেই ‘ ফালতু চা ‘। নাসিরের এই চায়ের দোকানে শুধু পুরুষ নয়, প্রচুর মহিলাও চা খেতে আসেন।
advertisement
advertisement
চায়ের স্বাদ ভাল , এই নিয়ে কারও দ্বিমত নেই। তবে চা বিক্রেতার রসিকতা কথা বা কথার রসের টানে বহু খরিদ্দার আসে। নাসির জানান, শুরুতে বেশ কয়েক রকম চা তৈরি করা হত। দামও ছিল ৫ টাকা থেকে ২৫ বা ৩০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে শুধু একটাই চা ভাঁড়, যার দাম ৭ টাকা। মহিলাদের জন্য প্রতি ভাঁড়ে ১ টাকা কম। বয়স্কদের জন্য প্রতি ভাঁড়ে ২ টাকা কম। ১০০ দিনের কাজের শ্রমিক ও সমাজ সেবিদের জন্য বিনামূল্যে চা। বিক্রেতা নাসির জানান, সারা সপ্তাহে ১৫০০ -১৬০০ মানুষ চা খেতে আসে। রবিবার হলে ২০০০ – ২১০০ মানুষ আসে। অনুষ্ঠানে সংখ্যাটা দ্বিগুণ হয়ে যায়। তেমনি আবার নবী দিবসের দিন যত মানুষ চা খেতে আসেন তাদের চা বিনামূল্যে দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: 
‘ফালতু চা’ এমন নাম রাখার যৌক্তিকতা কি উত্তরে নাসির জানায়, এই দোকান বা ব্যবসা সাধারণ মানুষের উপর নির্ভর। তাই সার্টিফিকেট বা সুনাম তাদের উপর নির্ভর করে। কিন্তু বর্তমান ক্ষেত্রে দেখা যায় দোকান মালিক বা ব্যবসায়ী নিজের জিনিস স্পেশাল বা সুস্বাদু বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচার করে ব্যবসা চালায়। কিন্তু আমি মনে করি, নাম যাই হোক না কেন আসল হল প্রোডাক্ট। কোয়ালিটি ঠিক রাখতে পারলে নাম যাই হোক না কেন জনপ্রিয়তা হবে। আসলে বুঝতে হবে ক্রেতা বা সাধারণ মানুষের বিচার বুদ্ধির ক্ষমতা রয়েছে। ভাল মন্দের বিচার তারাই করবে। তাতেই ব্যবসার শ্রী বৃদ্ধি ঘটতে পারে। নিজের সেই ভাবনার উপর ভিত্তি করেই দোকানের নামকরণ ‘ ফালতু চা ‘। শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে খাঁদার ঘাটের বিখ্যাত ‘ ফালতু চা ‘ এর। দোকানে আসা ক্রেতারা জানাচ্ছেন, এমন চা যেমন খুব কম মিলবে তেমনি এমন বিক্রেতাও মেলা ভার।
advertisement
রাকেশ মাইতি
বাংলা খবর/ খবর/হাওড়া/
Viral News: ৭ হাজারে শুরু! এখন দিনে ১৪ হাজার! এ কেমন 'ফালতু চা'! মুখে দিলেই ভাইরাল!
Next Article
advertisement
'আমি শিবভক্ত, সব বিষ গিলে নিই...', অসমের জনসভায় বললেন মোদি, তাঁর 'রিমোট কন্ট্রোল' কে? চিনিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী!
'আমি শিবভক্ত, সব বিষ গিলে নিই...', 'রিমোট কন্ট্রোল' কে? অসমের জনসভায় চিনিয়ে দিলেন মোদি
  • অসমের জনসভায় কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী

  • মোদি বলেন, জনগণই তাঁর আসল প্রভু এবং তাঁর ও ‘রিমোট কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রক’

  • অসমের দরং ও গোলাঘাটে ১৮,৫৩০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন

VIEW MORE
advertisement
advertisement