এই ছিটমহল পুনর্বাসন কেন্দ্রের বাসিন্দাদের কাছে নেই-র তালিকাটা অনেক লম্বা। এই পুনর্বাসন কেন্দ্রের বাসিন্দা আনন্দ প্রসাদ রায় জানান, ওপার বাংলায় থাকাকালীন তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছিলেন। এপারে এসে স্নাতক হয়েছেন। কিন্তু আজও সরকারি বা বেসরকারি কোনও চাকরিই জোটেনি। বাধ্য হয়ে টোটো চালাতে হচ্ছে এই শিক্ষিত যুবককে। তাঁর অভিযোগ, বাংলাদেশে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পাশ সার্টিফিকেটের কোনও মূল্য নেই ভারতে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাথরুমের জলভর্তি বালতিতে ডুবে মৃত্যু দেড় বছরের শিশুর
এই ছিটমহল পুনর্বাসন কেন্দ্রের বাসিন্দা নৃপেণ রায়ের অভিযোগ, ওপার বাংলা থেকে আসার সময় ভারত সরকার জানিয়েছিল জমির পাটটা দেওয়া হবে। কিন্তু তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে কোনও সরকারি সুবিধা বা ব্যাঙ্কের লোন কিছুই পাচ্ছেন না তাঁরা। তাঁদের সন্তানদের কর্মমুখী প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল। যদিও তাও পূরণ হয়নি বলে অভিযোগ। এছাড়াও এই পুনর্বাসন কেন্দ্রে পানীয় জলের অভাব অত্যন্ত প্রকট।
সবমিলিয়ে হলদিবাড়ির এই ছিটমহল পুনর্বাসন কেন্দ্রে বসবাসকারি ১০৩ টি পরিবারের পরিস্থিতি দিনে দিনে আরও খারাপ হয়ে উঠছে। এই সমস্যার ব্যপারে জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন, এই বিষয়গুলো জেলাশাসকের কাছছ আগে জানাতে হবে। তবেই সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি জানান। পাশাপাশি লিখিত আকারে তাঁকে অভিযোগ জানালে ছিটমহলের সমস্যা নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সার্থক পন্ডিত ও সুরজিৎ দে