TRENDING:

River Erosion: নেন্দা নদীর ভাঙনে বিলীন বিঘার পর বিঘা চাষের জমি! চিন্তার ভাজ স্থানীয়দের

Last Updated:

বেশ কয়েকবছর ধরে কৃষি জমি ভাঙতে ভাঙতে নদী এখন গ্রামের দিকে চলে এসেছে। বিঘার পর বিঘা জমি নেন্দা নদী গিলে নিয়েছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মাথাভাঙা: মাথাভাঙা এক নম্বর ব্লকের কুর্শামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় খলিসামারি গলোটারি গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে নেন্দা নদী। আর এই নদীর ভাঙন দীর্ঘ সময় ধরে অব্যাহত। বর্ষার শুরুতেই নেন্দা নদী ক্রমশ গ্রামের দিকে এগিয়ে আসায় রাতের ঘুম উড়েছে সকল এলাকাবাসীর। গত বছর বর্ষাতে নদীর ভাঙন শুরু হলে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান। তবে তাতে কাজ না হলে নিজেরাই ভাঙন প্রবন এলাকায় বাঁশের পাইলিং দিয়ে ভাঙন মেরামতের চেষ্টা করেন।
advertisement

তবুও নেন্দা নদীর ভাঙনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি। নদীর ভাঙন দেখতে গ্রামে নেতা-মন্ত্রীদের আনাগোনাও কম হয়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের সবাইকে অভিযোগ জানানো হলেও ভাঙ্গন রোধে কেউ কোন প্রকার হেলদোল দেখায়নি।

আরও পড়ুন ঃ কোচ রাজাদের তৈরি ঐতিহ্যবাহী হাটের বেহাল দশা

advertisement

তবে নেন্দা নদীর ভাঙনের বিষয়ে মাথাভাঙা এক নম্বর ব্লকের বিডিও সম্বল ঝা জানান, “বিষয়টি তাঁদের নজরে আছে। সেচ দফতরের পক্ষ থেকে দ্রুত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তাই নেন্দা নদীর ভাঙনের বিষয়টি রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যে সেচ দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত সেই কাজ শুরু না হওয়ার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে গ্রামবাসীরা। সরকারি ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করার বিষয় নিয়ে।”

advertisement

View More

গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল রশিদ মিঁয়া জানান, “বেশ কয়েক বছর ধরে কৃষি জমি ভাঙতে ভাঙতে নদী এখন গ্রামের দিকে চলে এসেছে। বিঘার পর বিঘা জমি নেন্দা নদী গিলে নিয়েছে। এই বছর বাধ না হলে তিন পুরুষের ভিটে মাটি হারা হতে হবে তাঁদের। বর্ষার সময়ে এই নদী ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। তাই কার্যত দিশেহারা নদী তীরবর্তী এলাকার ১২৫ টি পরিবার।”

advertisement

আরও পড়ুন ঃ গুলি লেগে গুরুতর জখম ১১ বছরের শিশু! কাঠগড়ায় খোদ বাবা, দিনহাটায় শোরগোল

গ্রামের অপর এক বাসিন্দা রুহুল আলি আহমেদ জানান, “নেন্দার ভাঙন মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। দ্রুত ভাঙন রোধ করা না গেলে গোটা গ্রাম নদীগর্ভে চলা যাবে। তাই বর্তমান সময়ে গ্রামবাসীদের দাবি দ্রুত পাথরের বাঁধ তৈরীর উদ্যোগ নেওয়া হোক প্রশাসনের পক্ষ থেকে।”

advertisement

এছাড়াও গৃহবধূ ইশানারা খাতুন জানান, “আব্দুল লতিফের বাড়ি থেকে পানবরের ঘাট লৌহ সেতু পর্যন্ত ৫৫০ মিটার স্থায়ী বাঁধের দাবি। সেচ দফতর ও কোচবিহার জেলা পরিষদসহ বিষয়টি বারবার বিভিন্ন জন প্রতিনিধিকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি।”

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

Sarthak Pandit

বাংলা খবর/ খবর/কোচবিহার/
River Erosion: নেন্দা নদীর ভাঙনে বিলীন বিঘার পর বিঘা চাষের জমি! চিন্তার ভাজ স্থানীয়দের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল