স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘অসমের ধুবরী জেলার খেরবারি এলাকার যুবতী পূর্ণিমার সাথে নাককাটিগাছ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা সুজিতের সামাজিক মতে বিয়ে হয় প্রায় ৫ বছর আগে। বর্তমানে তাঁদের একটি আড়াই বছরের সন্তান রয়েছে। তাঁদের বাড়িতে সুজিত বর্মন, স্ত্রী পূর্ণিমা বর্মন, তাঁদের একমাত্র সন্তান এবং বৃদ্ধ মা থাকেন। মাঝে মাঝেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকতো। তারপরেই এদিন এই ঘটনা ঘটায় সুজিত।’
advertisement
সুজিত বর্মনের মা জানান, ‘কিছু দিন থেকে সুজিতের মধ্যে অস্থিরতা ভাব লক্ষ করা যাচ্ছিল। সুজিত বর্মনের ধারণা, তাঁর স্ত্রী তাঁকে কিছু একটা করেছে যার জন্য তাঁর এই অবস্থা। এই বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। তবে সুজিত ঠিকমতো কাজ করত না। এতে সংসারে অভাব লেগেই থাকত এবং সে গাঁজা সেবন করত। সেইজন্যই তাঁর মধ্যে অস্থিরতা ভাব ছিল। তারপরেই ঘটে এমন ঘটনা । ছেলে ও ছেলের বউয়ের এই অবস্থায় রীতিমতো দিশেহারা হয়ে গিয়েছেন।’
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ‘ঘটনার দিন রাত ২ টো নাগাদ ওই গৃহবধূর চিৎকার শুনতে পান তাঁর শ্বাশুড়ি। তিনি উঠে গিয়ে দরজা ধাক্কা দিলে সেটা বন্ধ পান। এরপরেই তাঁর ছেলে দরজা খুলে তাঁকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়ে বিষ পান করে নেয়। এরপর আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং ঘরের মধ্যে মৃত অবস্থায় গৃহবধূকে দেখতে পায়। এছাড়া সুজিত বর্মণ বিষ পান করে ছটপট করতে থাকলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় তুফানগঞ্জ হাসপাতালে। পরে পুলিশ গিয়ে ওই গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পুরো বিষয়টির তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কেন এই ঘটনা ঘটল, সেটা তদন্তের পর পরিষ্কার ভাবে জানতে পারা যাবে।’
Sarthak Pandit