জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছোট কিংবা বড় বিভিন্ন পুজোর প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে। তবে মাথাভাঙা মহকুমা শহরের দক্ষিণ পড়ার পুজোর খুঁটি পুজোর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হল। পুজোর ঢাকে পড়ে গেল কাঠি! বেজে গেল পুজোর বাদ্যি!
আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাস, গর্ভবতী পরিচারিকা! জানাজানি হতেই বিয়েতে নারাজ অভিযুক্ত
advertisement
তবে এই খুঁটি পুজোর ধারনা এসেছে শত বছরের পুরোনো রীতি থেকে। আগে পুজো মানেই ছিল বনেদি বাড়ির পুজো। তখনকার দিনের পুজো এখনকার পাড়ার পুজোর মত ছিল না। না ছিল পুজোর কোন থিম, না ছিল দেবীকে ভিন্ন ভাবে সাজানোর প্রতিযোগীতা। রথযাত্রার দিন থেকে বিভিন্ন ঠাকুর বাড়ির দালান গুলিতে প্রতিমার কাঠামোর পুজোর মধ্যে দিয়ে শুরু হত দুর্গা পুজোর প্রস্তুতি।
তারপর বাঁশ পুঁতে তারমধ্যে রঙিন কাপড় জড়িয়ে বানানো হত চাকচিক্যহীন পুজো প্যান্ডেল। কিন্তু ক্রমেই সময়ের সঙ্গে খুঁটি পুজো নিয়ে মানুষের প্রতিযোগিতা বেড়ে উঠছে। কেমন যেনো পুজোর আগেই একটা পুজোর লড়াই। যার যেমন খুঁটির জোর,তাঁরকদর ততই বেশি। কোন পুজো কমিটি কতটা যাঁকজমক এর সাথে তাঁদের পুজো করছে। এবং কত বড় সেলিব্রিটি আনতে পারছে সেটাই আসল বিষয়।
তবে এবারের পুজোর বিষয়ে মাথাভাঙা দক্ষিণ পাড়া পুজো কমিটির চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর রায় বসুনিয়া জানান, “এই বছর তাঁদের পুজো কমিটির দুর্গা পুজো ৪৩ বছরে পদার্পণ করতে চলেছে।
গতবছর তাঁরা সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় স্থাপত্য বুর্জ খলিফা বানিয়ে গোটা জেলার মানুষকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তাই দক্ষিণপাড়া সার্বজনীন পুজো কমিটি এই বছরেও তার ব্যাতিক্রম করতে চায় না। এই বছর তাঁদের পুজো মণ্ডপের থিম মথুরার চন্দ্রোদয় মন্দির। সেই আদলেই মন্ডপ সজ্জার পাশাপাশি থাকছে কুমোরটুলির প্রতিমা। এছাড়াও থাকছে নানান আলোকসজ্জা। তাই এই বছর তাঁদের পুজোর বাজেট ধরা হয়েছে মোট প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা।”
সার্থক পণ্ডিত