এই রথের বেলায় দূর-দূরান্তের নানান ভক্তবৃন্দ ভিড় জমান। তাই রাজ আমলের এই রথের মেলাকে কেন্দ্র করে কোচবিহারবাসীর মধ্যে আলাদা আবেগ এবং উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। এই বছরের রথের জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে কোচবিহার মদনমোহন বাড়িতে এবং মদনমোহনের মাসির বাড়িতে।
কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক বিশ্বদীপ মুখোপাধ্যায় জানান, “রাজআমল থেকে দীর্ঘ সময় ধরে ঐতিহ্যবাহী এই রথের মেলার আয়োজন করা হয় মদনমোহন বাড়িকে কেন্দ্র করে। এই বছরেও সেই নিয়মের অন্যথা হবে না। ইতিমধ্যেই রথের মেলার প্রস্তুতি পর্ব শুরু করে দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ কাজ সমাপ্ত হবে। রথের মেলার উপলক্ষে সংস্কার করা হচ্ছে গুঞ্জবাড়ি এলাকায় থাকা কোচবিহারের মদনমোহন দেবের মাসির বাড়ি এবং ডাঙর আই মন্দির। এছাড়াও রথের মেলার মূল আকর্ষণ মদনমোহন দেবের রথকেও সাজিয়ে তোলা হচ্ছে নতুনভাবে। রথের বেশ কিছু সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে এই রথের মেলার উপলক্ষে। আগামী ২০ জুন ইংরেজি তারিখে রথের মেলা উপলক্ষে প্রচুর মানুষ ভিড় জমাবেন কোচবিহার মদনমোহন বাড়িতে।”
advertisement
আরও পড়ুন : পৃথিবীর আকাশে ‘নতুন চাঁদ’! জানুন মহাকাশবিজ্ঞানীরা কী বলছেন এই আবিষ্কারে
কোচবিহার মদনমোহন বাড়ির পুরোহিত শিবকুমার চক্রবর্তী জানান, “রথের মেলার একদিন আগে কোচবিহার রাজমাতা মন্দিরের মদনমোহন মদনমোহন বাড়িতে আসবেন। সেখানেই করা হবে অধিবাস। তারপর রথের মেলার দিন দুই মন্দিরের মদনমোহনকে নিয়ে যাওয়া হবে কাঠামিয়া মন্দিরে। সেখানে পুজো ভোগ এবং অন্যান্য নিয়ম পালন করা হবে। তার পর রথে চেপে মদনমোহন যাবেন গুঞ্জবাড়ি এলাকায় মদনমোহন দেবের মাসির বাড়িতে। সেখানেই পুজো এবং অন্যান্য নিয়মাবলী পালন করা হবে ৭ দিনব্যাপী।
তার পর ৭ দিন বাদে উল্টোরথে মদনমোহন ফিরবেন কোচবিহার মদনমোহন বাড়িতে। রথের মেলার বিষয়ে কোচবিহারের এক বাসিন্দা পিন্টু দাস জানান, “কোচবিহারের রথের মেলাকে কেন্দ্র করে কোচবিহারের মানুষের মধ্যে এক আলাদা আবেগ কাজ করে। তবে এই রথে জগন্নাথ বলরাম এবং সুভদ্রা চড়েন না, চড়েন কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর মদনমোহন।”