ধর্মসভার এক সদস্য প্রবীর কুমার দাস জানান, ‘‘ দীর্ঘ প্রায় ১৪১ বছরের পুরনো আমাদের এই দুর্গাপুজো। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে আমাদের এখানে দুর্গাপুজো করা হয়ে থাকে। এখানে দেবী দুর্গার নয়টি রূপকেই পুজো করা হয়। এছাড়া এই মন্দিরে রাধানাথের বিগ্রহও প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। দৈনন্দিন এখানে নিত্য পুজো চলে রাধানাথের।’’
দুর্গাপুজোর সময় কোচবিহার ধর্মসভায় নবরাত্রিও পালন করা হয়ে থাকে। এছাড়া দুর্গাপুজোর আগে মহালয়ার দিন ভোরবেলায় পিতৃ তর্পণেরও আয়োজন করা হয় এখানে। তাই এই কোচবিহার ধর্ম সভার পুজোয় অন্যান্য পুজোকে টেক্কা দেওয়ার কোন বিষয় নেই। পুজোর এক ও অদ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য হল পুজোর সমস্ত নিয়মকানুন রীতি প্রথা অনুযায়ী মেনে চলা।
advertisement
আরও পড়ুন : বিশ্রামরত মহিলার দেহ বেয়ে ফণা তুলে উঠছে বিষধর সাপ, তার পর কী হল, জানতে দেখুন ভাইরাল ভিডিও
আর সেদিকে খেয়াল রেখেই এখানে পুজো করা হয়। কোচবিহার ধর্মসভার সম্পাদক আশিস দে বলেন, ‘‘এখানের পুজোর সূচনাকাল থেকেই নিয়ম নীতি ও নিষ্ঠা সহকারে পুজো করা হয়। প্রতিপদ থেকে বিসর্জন সবসময়ই এখানে ধর্মীয় রীতিনীতি ও শাস্ত্র মেনে দুর্গার নয়টি রূপকে পূজা করা হয়ে থাকে। নবদ্বীপ থেকে পন্ডিত সুশান্ত ভট্টাচার্য আসেন এখানে দুর্গাপুজো করতে। এখানে মহালয়ার বিশেষ পুণ্য তিথিতে পিতৃতর্পণের আয়োজন করা হয় মন্দিরের পক্ষ থেকে।’’
আরও পড়ুন : বাড়িতে গণপতি বিগ্রহ আনলেন রাজ, ওয়াকারের সাহায্যে ভাঙা পায়ে দাঁড়িয়েই অভ্যর্থনা-পুজো করলেন শিল্পা
বিগত দু’বছর করোনার প্রভাব থাকার কারণে পুজো সেরকম জাঁকজমকপূর্ণ হয়নি। তবে এ বছর করোনার প্রভাব প্রায় নেই বললেই চলে। সে কারণেই ধর্মসভা কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই পুজোর প্রস্তুতি সারছে। প্রতিমা তৈরি থেকে শুরু করে মন্দিরের সাজসজ্জার বিষয় নিয়ে কাজ চলছে কোচবিহার ধর্মসভায়। স্থায়ী মন্দিরেই পুজো হবে দেবী দুর্গার। তাই এ বছর মন্দিরের পুজোর বাজেট রয়েছে আনুমানিক প্রায় চার লক্ষ টাকা।