এই দেবতা কখনও কখনও ঘোড়ায় চড়ে আসেন, আবার কখনও তার বাহন হয় মাছ। এই দেবতার নৈবেদ্যেতে দেওয়া হয় দই-চিঁড়ে, চালভাজা। আবার কখনও পোড়া চ্যাং মাছেও পেয়েও খুশি হন এই দেবতা। এছাড়া এই দেবতার রূপও হয় নানা রকম। জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিংয়ে মাষান তৈরি হয় শোলা দিয়ে, কোচবিহারে তৈরি হয় মাটির মূর্তি দিয়ে। আবার নেপালে পুজো হয় মাটির ঢিবি, বা থাপানাতে। সমতলে মাষান জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দার্জিলিং, দুই দিনাজপুর ছাড়াও পুজো পেয়ে থাকেন নেপাল, অসম এবং মেঘালয়ের কিছু জেলাতেও। সম্প্রতি তুফানগঞ্জে ১৮-হাত মাটির মূর্তি তৈরি করে মাষান পুজো করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: গরু চুরি করতে এসে গণধোলাই! ভয়াবহ কাণ্ড ! চাঞ্চল্য ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে!
এ রাজ্যে মূলত রাজবংশীরা মাষানের পুজো করেন। এই দেবতাকে জড়িয়ে রয়েছে কত না গল্পকথা। কাউকে মাষান ‘ভর’ করলে মন্ত্রগান শোনানো হয় ঠিক করবার জন্য। লোকনাট্যের আঙ্গিকের গান, আর সেই ‘মিউজিক থেরাপি’ রোগীকে নাকি দিব্যি সুস্থ করে তোলে। এক জেলার মাষান যদি গান শুনে তুষ্ট হন, তো অন্য জেলার মাষান তুষ্ট মুখোশ পুজোয়। মাষান পুজোর উৎস হল প্রচলিত লোক বিশ্বাস এই পুজো করলে সমস্ত রকম অমঙ্গল থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
Sarthak Pandit