এদিন সকালে মামনির বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে রণেন তার বাড়িতে দেখা করতে যায়। গ্রামবাসীরা ওই যুবক ও যুবতীকে একটি ঘরে দেখে ফেলেন। তারপর বাইরে থেকে ঘরের দরজায় শিকল তুলে দেন। খবর চাউর হতেই প্রচুর এলাকাবাসীরা ভিড় জমান সেখানে।
এই খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌঁছে যায় তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে দু’জনেই একে অপরকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যায়। এরপর স্থানীয়রা পুরোহিত ডেকে, বাজনা বাজিয়ে এলাকার একটি দুর্গা মন্দিরে হিন্দু রীতি মেনে বিয়ে দেন তাঁদের দু'জনের। স্থানীয় বাসিন্দা তথা স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক তপন কুমার বসাক বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে ওই যুবক ফাঁকা বাড়িতে মেয়েটির কাছে দেখা করতে আসত। এতে সমাজের ক্ষতি হচ্ছিল। তাই তাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।" বিয়ে উপলক্ষ্যে বাজিও পোড়ানো হয়। বিয়ে শেষে বর ও বধূকে একটি টোটোতে করে বরের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন গ্রামবাসীরা। মামনির বাবা গৌড়চন্দ্র বসাক জানান, "এভাবে মেয়ের বিয়ে হবে ভাবতে পারেননি। তবে গ্রামবাসীরা যা করেছেন। তাতে তিনি খুশি।"
advertisement
Sarthak Pandit