প্রসঙ্গত, কোচবিহারের রাজাদের স্বপ্নাদেশে পাওয়া বড় দেবীর পুজো আজ থেকে প্রায় ৫০০ বছরেরও বেশি পুরনো। বড় দেবী প্রতিমা দেখতে অন্যান্য দুর্গা প্রতিমার থেকে কিছুটা আলাদা। এখানে দেবীর বাহন থাকে বাঘ, আর দেবীর দুপাশে থাকে জয়া বিজয়া। প্রাচীন এই পুজো দেখতে শুধু কোচবিহারের মানুষই নয়, প্রতিবেশী রাজ্য অসম, এমনকি বাংলাদেশ থেকেও প্রচুর দর্শনার্থীরা আসেন কোচবিহারে। কিন্তু, গত দুই বছর থেকে করোনা মহামারির দাপটের কারণে ভিড় তুলনামূলক ভাবে কিছুটা হলেও কমে গিয়েছে। এবার এই পুজোয় দর্শনার্থীরা আবার ভিড় জমাবেন বলেই কোচবিহারের মানুষের প্রত্যাশা।
advertisement
আরও পড়ুন : আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রাচীন বাংলার রাজধানীর সৌধ, ঘুরে আসুন মালদহের গৌড়
এ দিন পুজো শেষে কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান জানান, "আজও বড় দেবীকে সম্পূর্ণ নিষ্ঠা এবং শ্রদ্ধার সাথে পূজা করা হয়ে থাকে কোচবিহারের বড় দেবী মন্দিরে। এছাড়া আমাদের পুজো মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, করোনা এখনো আমাদের ছেড়ে যায়নি। তাই পুজো দেখুন, মজা করুন কিন্ত করোনা বিধি মেনে।”
আরও পড়ুন : দীর্ঘ দেড় বছর পর হাওড়া স্টেশনে আজ থেকে ফের খুলছে ফুড প্লাজা
এ দিন রাজ পুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য জানান, " রাধা সপ্তমীর শেষ রাতে এই ময়না কাঠ কোচবিহার মদনমোহন বাড়ি থেকে বড় দেবীর মন্দিরে নিয়ে আসা হয়েছে। তারপর আজ রাধা অষ্টমীর পূর্ণ তিথিতে এই ময়না কাঠের বিশেষ স্নান ও বিশেষ পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এর পর এই ময়না কাঠকে ৩ দিন হাওয়া খাওয়ানোর পর মৃৎ শিল্পীরা দেবীর মূর্তি গড়ার কাজ শুরু করবেন।"