এই মূর্তি তৈরির কারিগরেরা দীর্ঘ সময় ধরে বংশ পরম্পরায় এই মূর্তি তৈরি করে আসছেন রাজ আমল থেকে। আজও এই দুর্গা মূর্তি নির্মাণের কারিগর তাঁরাই। এই দুর্গা মূর্তি নির্মাণ করা হয় কোচবিহারের গুঞ্জবাড়ি এলাকায় থাকা মদনমোহন দেবের মাসির বাড়িতে।\”
বর্তমানে এই দুর্গা মূর্তির প্রধান কারিগর সৌভিক পাল জানান, \”দীর্ঘ সময় আগে কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ ভূপ বাহাদুর তাঁর দাদুকে ওপার বাংলা থেকে নিয়ে এসেছিলেন এখানে মূর্তি নির্মাণের উদ্দ্যেশ্যে। তখন থেকেই রাজ পরিবারের মূর্তি নির্মাণের কারিগর হিসেবে কাজ করছেন তাঁরা। বর্তমানে এটা তাঁদের পঞ্চম প্রজন্ম।
advertisement
তবে দীর্ঘ প্রায় ২০০ বছরের বেশি পুরনো এই পুজোর মূর্তির ধরন ও কাঠামো কিছুই পরিবর্তন হয়নি আজও। মূর্তির কাঠামো আজও একই রয়েছে, তবে বেশ কিছু সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়া এই মূর্তি সেই শুরুর সময় থেকে একচালা ধাঁচে নির্মাণ করা হয়। রথের মেলার আগে থেকেই এই মূর্তি তৈরির কাজ শুরু করা হয়।\”
প্রতিমা শিল্পী সৌভিক পাল আরোও জানান, \”এই দুর্গা প্রতিমার মূর্তি তৈরির আগে মূর্তি তৈরির কাঠামোকে পুজো করা হয়। তারপর রথের মেলার দিন প্রথম এই কাঠামোয় মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়। আর মহালয়ার দিন করা হয় দেবীর চক্ষুদান। দীর্ঘ সময় ধরে এই নিয়ম-নীতি মেনেই মূর্তি তৈরি থেকে শুরু করে মূর্তি পুজো পর্যন্ত সমস্ত কিছু একই রয়েছে।\” এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় রায় জানান, \”রাজ আমলের এত প্রাচীণ একটি পুজোর মূর্তি তাঁদের বাড়ির পাশে তৈরি হয়।
মূলত সেই কারণেই তাঁদের মধ্যে বেশ উদ্দীপনা কাজ করে এই পুজোকে ঘিরে। প্রায় ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে এই মূর্তি নির্মাণ দেখে আসছেন তিনি। তবে এই এই মূর্তি তৈরির বিষয়ে তিনি তাঁর বাবা এবং দাদুর কাছে থেকে বহু কথা শুনেছেন।\”
Sarthak Pandit