তাদের কাথায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্কুলগুলোতে যে নীল সাদা পোশাক পরিধান করতে বলা হয়েছে, এতে স্কুলের ঐতিহ্য ও শৈশবের ভাবাবেগে আঘাত করেছে রাজ্য সরকার। সুনীতি একাডেমির প্রাক্তনী ছাত্রী রিয়া চক্রবর্তী জানিয়েছেন,"শৈশবের প্রচুর স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই পোশাকের সঙ্গে।" রাজাদের ঐতিহ্যবাহী হেরিটেজ শহর কোচবিহার। প্রত্যেকটা স্কুলের নিজস্ব একটা ঐতিহ্য রয়েছে, নিজস্ব স্কুল ইউনিফর্ম রয়েছে। সুনীতি একাডেমী সবুজ সাদা এই ইউনিফর্মকে, স্কুল থেকে বেরিয়ে গেলও সযত্নে প়়ড়ুয়রা রেখে দেয় মনের মনিকোঠায়।
advertisement
আরও পড়ুন : অদ্ভুত! গ্রামের নাম জড়িয়ে রয়েছে সে গ্রামের মানুষের জীবিকার সঙ্গে!
প্রাক্তনী ছাত্রী রিয়া আরও জানায়, "যদি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত স্কুলগুলোকে নীল সাদা পোশাক পরিধান করতে হয় তাহলে কোনও ছাত্র বা ছাত্রী যদি স্কুল ফাঁকি দিয়ে কোথায় চলে যায় তাহলে তাকে চিহ্নিত করা যাবে না সে কোন স্কুলের বাচ্চা।" তাই তিনি করজোরে অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছে তিনি যেন বিষয়টি অনুভূতি দিয়ে দেখেন এবং এই পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বদল করেন।
আরও পড়ুন : সামনে পুজো, বিপদ এড়াতে সীমান্তের শহর দিনহাটায় টহল পুলিশের!
প্রায় দেড়শ বছর পুরনো কোচবিহারের রাজ আমলের ঐতিহ্যবাহী সুনীতি একাডেমী স্কুল। গোটা রাজ্যের সঙ্গে সুনীতি একাডেমীর বিদ্যালয়ের ছাত্রীদেরও পোশাকের রং পরিবর্তনের কথা উঠেছে। কোন অবস্থাতেই কোচবিহারের ঐতিহ্যকে আঘাত করা যাবে না এই দাবিকে সামনে রেখে সোমবার বিদ্যালয়ের গেটের সামনে বিক্ষোভে সামিল হন বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা। তাদের একযোগে দাবি, একটি হেরিটেজ স্কুলের পোশাকের রং পরিবর্তন করা যাবে না।
পাশাপাশি প্রাক্তনী ছাত্রী ঝুমকা গুহ জানিয়েছেন, "সুনীতি একাডেমী চিরন্তন সাদা সবুজ, সাদা সবুজই থাকবে। কোনও মতেই রাজ্য সরকারের এ নীল সাদা পোশাক পরিধানের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না।" যতক্ষণ এই সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার পরিবর্তন করবেনা ততক্ষণ তাঁরা তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।"
Sarthak Pandit






