এই গাছ ভেঙে পড়ার ফলে সম্পূর্ণ গুড়িয়ে যায় দুটি টিনের বাড়ি। এক শিশু-সহ মোট পাঁচজন আহত হয়েছে এই গোটা ঘটনার জেরে। রাত আনুমানিক ১০ টা নাগাদ এই ঝড় শুরু হয় তারপর দফায় দফায় চলতে থাকে ঝড়।
আরও পড়ুন: সাতপাকের আগেই মণ্ডপ থেকে ‘হাওয়া’ বর! বিয়ের সাজেই ২০ কিলোমিটার ধাওয়া কনের! তারপর যা হল…
advertisement
ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক নন্দ সাহা বলেন, “গতকাল রাত আনুমানিক সাড়ে দশটা নাগাদ ঝড় শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরেই তাঁর বাড়ির পাশে থাকা বিরাট একটি গাছের একটা অংশ বিকট শব্দ করে ভেঙে পড়ে তাঁর বাড়ির ওপর। সেই মুহূর্তে বাড়িতে তাঁর সঙ্গে তাঁর ছেলের বউ, নাতি এবং তাঁর স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। বাড়ির সম্পূর্ণ চাল ভেঙে পড়ে তাঁর মাথার ওপর। প্রাণ বাঁচাতে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন তিনি। সেই চিৎকার শুনে ছুটে আসে এলাকার বাসিন্দারা। অন্ধকারের মধ্যে সারারাত ধরে চলে উদ্ধার কাজ।”
তবে এই ঘটনার খবর চাউর হতেই রাতেই উপস্থিত হয় কোচবিহার দমকল বাহিনীর দল এবং কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিশের একটি দল। রাতে উদ্ধারের কাজে তাঁরাও কিছুটা সহায়তা করে। তবে সকাল হতেই বিপর্যয় মোকাবেলা দফতরের দল উপস্থিত হয় এলাকায়। বিপর্যয় মোকাবেলা দফতরের সিনিয়র সদস্য অপু দে জানান, “ইতিমধ্যেই তাঁরা গাছটি কাটার কাজ শুরু করা দিয়েছেন। বাকিদের তাঁরা উদ্ধার করে নিয়েছেন সম্পূর্ণ সুরক্ষিত ভাবে। তবে এত বড় একটি গাছের বড় একটি ডাল সম্পূর্ণ কেটে সরাতে একটু সময় লাগবে। তবে উদ্ধারকারী দল দ্রুত গতিতে কাজ করছে।”
সার্থক পণ্ডিত






