করোনা আবহাওয়া কাটিয়ে গোটা রাজ্য শারদ উৎসবে মেতে উঠেছে। সেই একই ভাবে মেতে উঠেছে বেলবাড়ির সাধারণ গ্রামবাসীরাও। দু'বছরের করোনা আবহ কাটিয়ে এ বার মেলার আয়োজন করেছে গ্রামবাসীরা। পাঁচ দিনের এই পুজো জমজমাট হয়ে ওঠে এই গ্রামের স্কুলের মাঠে। কোচবিহারের প্রায় প্রতিটি পুজোর মতো এই পুজোর ক্ষেত্রেও রয়েছে প্রচুর পুরোনো গল্প। এখানে দেবী মূর্তির রঙ পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। একটা সময় এখানে দেবীর মূর্তির রঙ পরিবর্তন করার চিন্তাভাবনা করা হয়েছিল। তবে তারপরে ক্ষতির সম্মুখীন হয় পুজো কমিটির মানুষেরা। তাই আজ পর্যন্ত দেবী মূর্তির রঙ পরিবর্তন করা হয়নি এখানে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মাটি সংরক্ষণের বার্তা, মাটি ছাড়াই মৃন্ময়ী মূর্তি গড়ছেন হোমগার্ড
বেলবাড়ি দুর্গা মন্দিরের গুগল ম্যাপ লিঙ্ক:
আরও পড়ুনঃ কলাবউ আসে পালকি চড়ে, ১৩০ বছরের পুজোতে ভিক্ষার চল অব্যাহত
এখানের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, "দীর্ঘ প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ বছর আগে পুজো কমিটির এক সদস্য এখানে দেবী প্রতিমা রঙ পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। রং চলাকালীন সময়ে তার শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়। তারপর দেবীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে এবং রং পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলে তিনি ঠিক হয়ে ওঠেন।" এখানের এই প্রাচীন দুর্গাপূজোয় বলি প্রথা প্রচলিত রয়েছে। তবে সেই বলে পাঠাতে ঘেরাও রয়েছে পৌরাণিক রীতি। কোন অবস্থাতেই অশুচি ভাবে বলি দেওয়া যায় না এই মন্দিরে। বলির খাড়া নামলেও বলি সম্ভব হয় না, জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। কোচবিহার জেলার ঐতিহ্যবাহী গ্রাম বাংলার এই পুজোর মধ্যে তাই অন্যতম একটি পুজো হল এই বেলবাড়ির দুর্গাপুজো।
Sarthak Pandit