মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে সাইবার ক্রাইম পুলিশের আইসি মিলন মল্লিক জানান, সদ্য কিছুদিন থেকেই বেশি পরিমাণে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে AEPS মোডে টাকা উঠে যাচ্ছে। কিন্তু গ্রাহকরা কোনও কিছু বুঝতে পারছেন না। অথচ পরে জানতে পারছেন টাকা উঠে গিয়েছে। মূলত AEPS (আধার এনাবেল পেমেন্ট সিস্টেম) একটি ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। এর সাহায্যে আধার লিঙ্ক কাজ করা থেকে, ব্যাঙ্কিং অ্যাকাউন্ট চেক করা, নগদ অর্থ তোলা হয় আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে APES জালিয়াতি করা হচ্ছে ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস-ওজন নিয়ন্ত্রণের মহৌষধ, রোজের পাতে এই সবজি খান? ভুলেও নাক সিঁটকাবেন না
AEPS জালিয়াতি আসলে কী? পুলিশ কর্তার কথায়, বেশ কিছু ব্যাঙ্কের শাখায় গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে তাদের অজান্তেই টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে। মেসেজ থেকে বোঝা যাচ্ছে ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহার করে টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে। এতে দিনে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত তোলা যেতে পারে। এইরকম প্রতারণা হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। সাইবার ক্রাইম থানাতেও যোগাযোগ করতে হবে কোনও সময় নষ্ট না করে।
AEPS থেকে কীভাবে বাঁচবেন? এসবিআই বহরমপুর প্রধান শাখার ডিজিটাল আধিকারিক কাইজার সরকার জানান, AEPS শুরু হয়েছিল শাখা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেন করার জন্য। কিন্তু শাখা ব্যাঙ্ক ছাড়াও ব্যাঙ্কের প্রধান শাখায় এ রকম ঘটনা ঘটেছে। AEPS অফার ট্র্যানজাকশন মানে অন্য শাখা থেকে এই টাকা উঠে যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজোর বাকি ৩০ দিন! দেবীর বোধন থেকে নিরঞ্জন, মিলিয়ে নিন এ বছরের নির্ঘণ্ট
অ্যাকাউন্টে আধার লিঙ্ক থাকলেও যে টাকা উঠবে তার কোনও মানে নেই। যাদের AEPS ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ট্রানজাকশন করা আছে তাদের একমাত্র ভয়ের সম্ভাবনা আছে। সেই ক্ষেত্রে বাঁচার উপায় হলঃ eydai.gov.in এই ওয়েব সাইটে গিয়ে my Aadhar ট্যাবে যাবেন। পরে সেই লিঙ্কে ক্লিক করে ৩নং তে আধার সার্ভিস আছে। তার নীচে আধার লক ও আন লক সার্ভিস আছে। সেখানে যাওয়ার পর আধার নম্বর দেওয়ার জায়গা দেবে। আধার নম্বর দিয়ে OTP জেনারেট করলে রেজিষ্ট্রার করা মোবাইলে একটি SMS আসবে। সেই OTP দিয়ে লগ ইন করলে আধার লক ও আন লক করার অপশন দেবে। আধার লক করে রাখলে এই AEPS জালিয়াতি হওয়ার সম্ভাবনা আর থাকবে না।
বর্তমানে ঘরে ঘরে মোবাইল স্মার্ট ফোন ব্যবহার করা হয়। সেখানে প্লে ষ্টোরে অ্যাপ ভার্সনটিও আছে। যা হল ‘m aadhar’ বলে। সেখানেও লগ ইন করে বায়োমেট্রিক লক ও আন লক অপশনটি আছে। বায়োমেট্রিক লক করে রাখলে AEPS জালিয়াতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। তবে যখন প্রয়োজন পরবে তখন ঠিক একই ভাবে আধার আন লক করতে হবে এবং কাজ শেষ হলে আবারও লক করতে হবে। যদি নিজের ভুলে অজান্তেই AEPS জালিয়াতি হয়ে থাকে তাহলে সর্বপ্রথম ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করতে হবে, পরে সাইবার ক্রাইম থানায় যোগাযোগ করলে টাকা ফেরৎ-এর সম্ভাবনা রয়েছে।
কৌশিক অধিকারী





