স্থানীয় কৃষক পূর্ণ বারিক জানিয়েছেন, “এবারের আবহাওয়া ফুলকপি চাষের জন্য একেবারে উপযুক্ত। সময়মতো বীজ বপন ও পরিচর্যার কারণে গাছও ভাল ফলন দিচ্ছে। ফলে উৎপাদনও বেড়েছে আগের বছরের তুলনায়। আমরা প্রতিটি গাছের পিছনে প্রায় ছয় টাকা খরচ করেছি। এখন বাজারে কপি বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। এতে খরচ তুলেও আমরা লাভ করতে পারছি ভাল পরিমাণে। যদি আগামী সপ্তাহগুলোতে দাম এমনই থাকে, তবে এই বছরটা আমাদের জন্য খুব ভাল যাবে।”
advertisement
আরও পড়ুন: একাধিকবার জঙ্গলমহলে বাঘ, দু’বার মৃত্যু! জঙ্গলমহলে আসার কারণ কী? জানুন
পশ্চিম মেদিনীপুরের স্থানীয় বাজারে এখন থেকেই ফুলকপির চাহিদা তুঙ্গে। শীতের শুরুতেই ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে সবজি বাজারে। শীতকাল মানেই ফুলকপির মরশুম, আর এই কপির স্বাদ ভুলতে পারেন না কেউই। ভাজা, তরকারি কিংবা আলু-ফুলকপি—সবেতেই এই সবজির আলাদা কদর রয়েছে। এলাকায় ফুলকপি চাষ দিন দিন বাড়ছে। কারণ খুব কম বিনিয়োগে ভাল আয় পাওয়া যায় এই চাষে। এছাড়াও চাষিরা পর্যাপ্ত জল, সার ও কীটনাশক ব্যবহারে যত্ন নিচ্ছেন বলেই ফসলও হয়েছে দারুণ মানের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গড়বেতা ও আশেপাশের অঞ্চলে এখন শীতের এই ফুলকপি চাষ শুধু কৃষকদের জীবিকা নয়, গ্রামীণ অর্থনীতিতেও এনে দিয়েছে নতুন গতি। অল্প বিনিয়োগে এমন লাভে উৎসাহিত হচ্ছেন নতুন কৃষকেরাও। এভাবেই শীতের শুরুতেই ফুটে উঠেছে সাদা সোনার হাসি—যা কৃষকদের পরিশ্রম, আশা আর সাফল্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে।





