কঠিন বাস্তবতার সঙ্গে লড়ে আজ সংসারের জন্য নিজেরাই করছেন আয়। বিশেষ উল দিয়ে তৈরি করছেন কার্পেট। তাদের এক একটি কার্পেট বানাতে সময় লাগে দু’মাসের মত সময়। এর থেকে মেলে কয়েক হাজার টাকা। তবে মহাজন মারফত বিক্রি হয় লক্ষ টাকারও বেশি দামে। হাতের কারসাজিতে বিভিন্ন রঙের উল দিয়ে বোনা হয় এই কার্পেট।
advertisement
বাড়ির অন্যান্য কাজ সামলে তারা তৈরি করেন কার্পেট। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা ব্লকের ধামতোড় এলাকার পশ্চিম সাতকোনা গ্রামের বাসিন্দা সুমিত্রা সাহু। নুন আনতে পান্তা ফুরায় পরিবারে। তবে নিজে কিছু করার ভাবনা নিয়ে শুরু করেন কার্পেট বোনার কাজ। পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থেকে কাঁচামাল এনে বাড়িতে বুনেন এই কার্পেট। সুমিত্রার সঙ্গে আরও কাজ করছেন দুজন মহিলা। তারাও স্বনির্ভর হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, তিনজনের প্রতিমাসে ইনকাম বেশ কয়েক হাজার টাকার মত।
আরও পড়ুন: আর লাইন দিতে হবে না, এখন বাড়ি থেকেই স্পিডপোস্ট করতে পারবেন !
জানা গিয়েছে, সংসারের হাল ধরতে শুরু করেন কার্পেট তৈরির কাজ। মহিলাদের হাতে তৈরি এই কার্পেট ছড়িয়ে পড়েছে ভিন রাজ্যে। বিক্রি হয় লক্ষাধিক টাকায়। এক একটি কার্পেট বানাতে তাদের সময় লাগে প্রায় দু’মাস। এভাবে এক একটি কার্পেট নিখুঁতভাবে বুনছেন তারা। সময়ে দেন ডেলিভারি। কাজের বাবদ তারা পান মজুরি।
আরও পড়ুন: ৫ তারিখেই শেষ হয়ে যায় স্যালারি ? মেনে চলুন এই আশ্চর্য নিয়ম, মাসের শেষেও বাজেটে টান পড়বে না
প্রথম দিকে এই পথচলা মোটেও সহজ ছিল না। কাঁচামালের জোগান, বাজারের প্রতিযোগিতা, ক্রেতার অভাব—এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যেই চালিয়ে গিয়েছেন কাজ। এখন কার্পেটের চাহিদা রয়েছে মুম্বাইয়ের বাজারে, যা আত্মনির্ভরশীল হওয়ার সাহস দিয়েছে। তাদের এই উদ্যোগ শুধুমাত্র নিজেদের জন্য নয়, অন্যান্য অনেক দরিদ্র পরিবারের কাছেও এটি এক অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারে।
রঞ্জন চন্দ





