দীর্ঘ সময় ধরে অর্কিড ফুল চাষের সঙ্গে যুক্ত তুফানগঞ্জের এক ব্যক্তি। অর্কিড ফুল বাগানে মালিক সমীর কুমার দত্ত জানান, “দীর্ঘ পাঁচ-ছয় বছর ধরে তিনি এই চাষের সঙ্গে যুক্ত। করোনা কালের লকডাউনের আগে থেকে এই চাষ করছেন তিনি। এই চাষ করতে একটাই সমস্যা হয়। প্রথম দুই থেকে তিন বছর পর্যন্ত বাগানের ফুলের ফলন ভাল হয়। তারপর বাগানের ফুল ফোটার পরিমাণ কমে আসে। তাই বাগানের চারা পরিবর্তন করতে হয় সেই সময়ের পর। তবে এই ফুল টানা একমাস পর্যন্ত সতেজ থাকে।”
advertisement
আরও পড়ুন: বস্তার মধ্যেই হবে লঙ্কা ও আদা চাষ! বিশেষ এই পদ্ধতিতে হবে বিপুল লাভ
তিনি আরোও জানান, “এক একটি অর্কিড ফুল প্রায় ২০ টাকা দামে বাজারজাত করা সম্ভব। তাই লাভ থাকে এই ফুল চাষে বেশ অনেকটাই ভাল পরিমাণ। তবে অন্যান্য ফুল গাছের মতন এই চাষ করতে ড্রিপ ইরিগেশন পদ্ধতি ব্যবহার হয় না। এই চাষ করতে প্রয়োজন হয় স্প্রিংকলার সিস্টেম। কারণ, এটি ফুল চাষের জন্য বৃষ্টিপাতের মতো জল সরবরাহ প্রদান করে। এতে গাছের ফলন ভাল হয়। এছাড়া জল অপচয় কম হয় অনেকটাই। তবে বেশ কিছু সময় এই চাষের ক্ষেত্রে ফাঙ্গিসাইট, পেস্টিসাইট স্প্রে করার প্রয়োজন হয়।”
আরও পড়ুন: এই ৫ নগদ লেনদেনের জন্য আয়কর বিভাগ থেকে নোটিস পেতে পারেন, সতর্ক থাকুন, বিশদে জানুন ভুল হওয়ার আগেই
বর্তমান সময়ে এই ফুল চাষ বেশ অনেকটাই লাভজনক। তবে কোচবিহারে এখনোও পর্যন্ত সেরকম ভাবে এই অর্কিড ফুল চাষ শুরু হয়নি। তাই বহু কৃষক এই ফুল চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তবে এই ফুল চাষ করতে হলে কৃষি দফতর থেকে জরুরী পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই জরুরি। তবেই এই চাষ করে অনেকটা বেশি লাভ সহজে করা সম্ভব হবে।
Sarthak Pandit