Income Tax Notice: এই ৫ নগদ লেনদেনের জন্য আয়কর বিভাগ থেকে নোটিস পেতে পারেন, সতর্ক থাকুন, বিশদে জানুন ভুল হওয়ার আগেই
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Income Tax Notice: আয়কর কর্মকর্তারা সর্বদা বেশি মূল্যের নগদ লেনদেনের উপর নজর রাখেন।
আয়কর (আই-টি) বিভাগ এখন বেশি মূল্যের নগদ লেনদেনের উপর খুব বেশি নজর রাখে। কেউ যদি মনে করেন যে, ট্যাক্স বিভাগ ডিজিটাল লেনদেন লক্ষ্য করে না, তাহলে তিনি ভুল ভাবছেন বলতেই হয়। ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে UPI, কার্ডে অর্থ প্রদান, নগদ জমা এবং উত্তোলনের মতো লেনদেনের তথ্য বিভাগকে দিতে হয়, যদি তারা একটি নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করে।
advertisement
আয়কর বিভাগ ব্যয় এবং আয়ের মধ্যে পার্থক্য ধরতে ডেটা বিশ্লেষণ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো আধুনিক সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করে। ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, বিনিয়োগ, সম্পত্তি ডিল এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্যের পাশাপাশি নিয়োগকর্তা, ট্রাভেল এজেন্সি বা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকেও তথ্য নেওয়া হয়। কোনও অসঙ্গতি পাওয়া গেলে বিভাগ নোটিশ পাঠাতে পারে এবং তদন্তও শুরু করা হতে পারে। যাই হোক, আয়কর কর্মকর্তারা সর্বদা বেশি মূল্যের নগদ লেনদেনের উপর নজর রাখেন।
advertisement
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই ৫ নগদ লেনদেন সম্পর্কে, যা আয়করের নজরে আসতে পারে -সেভিংস অ্যাকাউন্টে একটি বড় অঙ্ক জমা করা -কেউ যদি একটি আর্থিক বছরে (১ এপ্রিল থেকে ৩১ মার্চ) ১০ লাখ টাকা বা তার বেশি নগদ জমা করে থাকে, তবে সেই পরিমাণটি একক অ্যাকাউন্টে হোক বা একাধিক অ্যাকাউন্টে মিলিত হোক, ব্যাঙ্ক তার তথ্য আয়কর বিভাগকে দেবে। এর মানে এই নয় যে, ব্যক্তি কর ফাঁকি দিয়েছেন, তবে আয়কর বিভাগ তাঁকে অবশ্যই সেই টাকার উৎস বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে পারে। উত্তর সন্তোষজনক না হলে বা আয়ের সঙ্গে না মিললে জরিমানাও করা হতে পারে।
advertisement
খুব বেশি নগদে ফিক্সড ডিপোজিট করা -আজকাল FD-এর হার বেড়েছে, তাই লোকেরা এতে অর্থ বিনিয়োগ করতে পছন্দ করছে। কিন্তু কেউ যদি এক বছরে নগদে ১০ লাখ টাকা বা তার বেশি অঙ্কের এফডি করে থাকে, তবে এটিও বিভাগের নজরে আসতে পারে। এমনকি কয়েকটি ব্যাঙ্কে ভাগ করে টাকা জমা করলেও, যদি মোট পরিমাণ ১০ লাখ টাকার বেশি হয় তবে তা জানানো হবে। তাই এফডির জন্য ব্যবহৃত অর্থের উৎস স্পষ্ট হওয়া উচিত।
advertisement
শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড বা বন্ডে নগদ বিনিয়োগ -কেউ যদি ১০ লাখ টাকা বা তার বেশি নগদে বিনিয়োগ করে, যেমন শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড বা ডিবেঞ্চারে, তাহলে এর তথ্যও ট্যাক্স বিভাগে যায়৷ যদিও তার মানে এই নয় যে, অবিলম্বে একটি নোটিশ পাওয়া যাবে। তবে যদি কারও আয় এবং বিনিয়োগের মধ্যে একটি বড় পার্থক্য পাওয়া যায়, তবে একটি তদন্ত হতে পারে। নগদ বিনিয়োগ সন্দেহের মধ্যে পড়ে কারণ এটির কোনও ডিজিটাল রেকর্ড থাকে না।
advertisement
ক্রেডিট কার্ডের বিল নগদে পরিশোধ করা -কেউ যদি প্রতি মাসে একটি ক্রেডিট কার্ডের বিল হিসেবে ১ লাখ টাকা বা তার বেশি নগদে পরিশোধ করে, তবে এটি ট্যাক্স বিভাগের নথিতে আসে। এর জন্য সরাসরি নোটিশ পাওয়া যায় না, তবে বারবার এমন করলে প্রশ্ন উঠতে পারে এত নগদ কোথা থেকে পাওয়া গেল। তাই এই ধরনের বড় লেনদেন ডিজিটাল পদ্ধতিতে করাই ভাল।
advertisement
সম্পত্তি কেনার সময় নগদ অর্থ প্রদান -কেউ যদি ৩০ লাখ টাকা বা তার বেশি মূল্যের সম্পত্তি কেনে, তাহলে সেই পরিমাণের উৎস বলতে হবে। এই সীমা শহরগুলিতে ৫০ লাখ টাকা এবং গ্রামীণ এলাকায় ২০ লাখ টাকা৷ কিছু রাজ্যে এই সীমা আরও কঠোর হতে পারে। কেউ যদি নগদে অর্থ প্রদান করে এবং এর উৎস না জানায়, তাহলে আয়কর বিভাগ তা প্রমাণের জন্য জিজ্ঞাসা করতে পারে। এক্ষেত্রে রেজিস্টার নথি দেখানো যেতে পারে বা ফর্ম ২৬QB-এর মাধ্যমে তথ্য দেওয়া যেতে পারে।
advertisement
কর বিভাগ থেকে নোটিশ পেলে কী করতে হবে -প্রথমত, আতঙ্কিত হওয়া উচিত নয়। নিজেদের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলি সুরক্ষিত রাখতে হবে - যেমন ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, বিনিয়োগের প্রমাণ, নগদ কোথা থেকে এসেছে তার বিশদ (যেমন উত্তরাধিকার, ব্যবসায়িক আয় ইত্যাদি)। কেউ যদি কিছু বুঝতে না পারে, তাহলে অবশ্যই একজন বিশ্বস্ত ট্যাক্স বিশেষজ্ঞ বা CA-এর পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। ট্যাক্স নিয়ম মেনে চলা এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখা সকলকে বড় সমস্যা থেকে বাঁচাতে পারে।