আরও পড়ুন: ১ লাখ টাকার বোনাস থেকে ২.৭৭ কোটির কর্পাস! দশ বছর বিনিয়োগেই নিশ্চিত সোনালি ভবিষ্যৎ
সেই আপেল পরীক্ষামূলকভাবে চাষ হচ্ছে বাঁকুড়ায় এবং দেখা দিচ্ছে ফুল এবং ফল। বিশেষ করে বাঁকুড়া জেলার দামোদরপুরে অবস্থিত পরশমনি ডেভেলপমেন্ট এন্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশনে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ফার্মিং সিস্টেম রিসার্চ এর সহযোগিতায় পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হয় আন্না, দোসার্ট গোল্ডেন, HRMN-99 প্রজাতির আপেলের পরীক্ষামূলক চাষাবাদ। আপেল চাষের জন্য ঠিক কতটা জলের প্রয়োজন বা মাটিতে কি কি খনিজের প্রয়োজন তা নিয়ে গবেষণাও চলছে। লাল ল্যাটেরাইট মাটিতে যদি আপেল চাষ হয় তাহলে সেটা একটি কৃষি বিপ্লবের সমান।
advertisement
আরও পড়ুন: ১৫ হাজার টাকা থাকলে আপনিও সহজে মোটা টাকা রোজগার করতে পারবেন
আশাবাদী কৃষি কর্মাধ্যক্ষা বিশ্বরূপা সেনগুপ্ত। তবে এর বাণিজ্যিকরণ করতে গেলে আরও সময় লাগবে। বাঁকুড়া জেলার কৃষি কর্মাধ্যক্ষা বিশ্বরূপা সেনগুপ্ত জানান “বাঁকুড়ার লাল মাটি এবং বাঁকুড়া জলবায়ু ইজরায়েলের সবুজ আন্না প্রজাতির আপেল চাষের জন্য উপযুক্ত। এক্ষেত্রে একমাত্র বাধা হল ফলনের সময়ের তাপমাত্রা। আন্না আপেল বা সবুজ আপেল ফলনের জন্য প্রয়োজনীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হল ৮ ডিগ্রি। এই তাপমাত্রা খুব কমই বাঁকুড়া জেলায় আমরা পাই। একবার ফলন হয়ে গেলে প্রায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে এই আপেল।”
বাঁকুড়া জেলায় আঙুর ফলাতে সময় লেগেছিল প্রায় সাড়ে চৌদ্দ বছর। এখন বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় সুমিষ্ট আঙ্গুর পাওয়া যায়। ঠিক সেই রকমই পরীক্ষামূলকভাবে বিগত কয়েক বছর ধরেই চাষ করা হচ্ছে আপেল। শুধুমাত্র প্রয়োজন একটু ধৈর্য ও সময়, তাহলেই হয়তঅদূর ভবিষ্যতে বাঁকুড়ার আপেল ছড়িয়ে যাবে গোটা পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষে এমনটাই আশা রাখছে বাঁকুড়ার মানুষ।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী





