শীতের মরশুম শুরু হতেই দিনদিন বাড়ছে বিদেশি আলফা আলফা প্রজাতির এই ঘাস চাষ। উন্নত জাতের এই ঘাস গবাদিপশুর খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে কৃষকরা আয় করতে পারেন হাজার হাজার টাকা। খড়ের বিকল্প গরু-ছাগলসহ অন্যান্য গবাদিপশুকে খাদ্য হিসেবে দেওয়া যায় এই ঘাস। খড়ের দামের তুলনায় এই ঘাস সাশ্রয়ী হওয়াতে পশু পালনকারীরাও ঝুঁকছেন। আবার অনেকেই এই ঘাস চাষ করে হচ্ছেন আত্মনির্ভরশীল।
advertisement
এলাকায় কৃষি ও পতিত জমি এবং বাড়ির আশপাশে চাষ হচ্ছে এই ঘাস। খড়ের চেয়ে এখন এই ঘাসের চাহিদা অনেক বেশি। কৃষক ও খামারিরা আলফা আলফা ঘাস চাষে উদ্যোগী হয়ে উঠছেন। বিশেষত খড়ের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বিদেশি জাতের এই ঘাস। এই ঘাসের চাষে তেমন পরিশ্রম করতে হয় না। কৃষকরা অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে লাভবান হচ্ছেন। এ জাতের ঘাস রোপণের এক মাসের মাথায় কাটার উপযোগী হয়ে যায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে গোড়া থেকে চারা গজায়। সে ক্ষেত্রে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কাটার উপযোগী হয়। একটি গোছা থেকে ভাল মানের ঘাস হয়। একটি গরুর জন্য প্রতিদিন ৭-১০ কেজি ঘাস প্রয়োজন হয়। একবার বীজ বুনলে বা চারা রোপণ করলে কয়েক মাস টানা ঘাস পাওয়া যায়। ফলে খরচ কম হয়।
আরও পড়ুন: লাল পিঁপড়ের বাসা থেকে ডিম সংগ্রহের বিশেষ কৌশল, মাসে কয়েক হাজার টাকা আয় করছেন গ্রামের মানুষ
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ধান চাষের বিচুলি নষ্ট হয়ে খড়ের দাম বেশি হওয়ায় এখন এই ঘাস খাওয়ানো বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এইগ ঘাস চাষ গরুর খাবারের চাহিদা মিটছে। এই ঘাস চাষের জন্য বীজ বোনা এবং চারা লাগানো যায়। বীজ বুনলে দেড় মাস এবং চারা লাগালে এক মাসের মধ্যে ঘাস বড় হয়ে যায়। প্রতিমাসে অল্প ফসফেট, পটাশ এবং ইউরিয়া সার দিতে হয়। মাঝে মধ্যে একটু সেচও দিতে হয়।





