New Business Idea: পিঁপড়ের ডিমই এখন জীবনধারণের ভরসা! লাল পিঁপড়ের বাসা থেকে ডিম সংগ্রহের বিশেষ কৌশল, মাসে কয়েক হাজার টাকা আয় করছেন গ্রামের মানুষ

Last Updated:
বসিরহাট ও সুন্দরবনের বহু পরিবার আজ লাল পিঁপড়ের ডিম সংগ্রহ করেই সংসার চালান। ক্ষুদ্র এই ডিমই এনে দিচ্ছে গরিব মানুষের জীবনে আশার আলো ও স্বনির্ভরতার দৃষ্টান্ত।
1/6
জীবন সংগ্রামে টিকে থাকতে কত রকম পেশাই না বেছে নেন মানুষ। তেমনই এক অভিনব ও বিরল পেশা হলো লাল পিঁপড়ের ডিম সংগ্রহ। একসময় এই শব্দটি সংবাদ শিরোনামে আলোচিত ছিল—জঙ্গলমহলের অনাহারী মানুষ নাকি পিঁপড়ের ডিম খেয়ে বেঁচে আছে! আজ সেই পিঁপড়ের ডিমই বহু গরিব পরিবারের জীবিকার উৎস হয়ে উঠেছে। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট সহ সুন্দরবন এলাকার কিছু মানুষের কাছে এ যেন অতিরিক্ত আয়ের এক বড় ভরসা।
জীবন সংগ্রামে টিকে থাকতে কত রকম পেশাই না বেছে নেন মানুষ। তেমনই এক অভিনব ও বিরল পেশা হলো লাল পিঁপড়ের ডিম সংগ্রহ। একসময় এই শব্দটি সংবাদ শিরোনামে আলোচিত ছিল—জঙ্গলমহলের অনাহারী মানুষ নাকি পিঁপড়ের ডিম খেয়ে বেঁচে আছে! আজ সেই পিঁপড়ের ডিমই বহু গরিব পরিবারের জীবিকার উৎস হয়ে উঠেছে। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট সহ সুন্দরবন এলাকার কিছু মানুষের কাছে এ যেন অতিরিক্ত আয়ের এক বড় ভরসা।
advertisement
2/6
গ্রামবাংলার গাছপালা, ঝোপঝাড় আর বাগানে ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করা হয় এই ডিম। শীত-গ্রীষ্ম আর রোদ উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধে অবধি চলতে থাকে খোঁজ। বাদুড়িয়ার বাবলু আকুঞ্জি জানান, পিঁপড়ের ডিম বিক্রি করেই তিনি প্রতিদিনের সংসার চালান। মাছ ধরার টোপ হিসেবে এই ডিমের চাহিদা বেশ জনপ্রিয়। বসিরহাট থেকে শুরু করে কলকাতার বিভিন্ন বাজারে প্রতিকেজি ডিম বিক্রি হয় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়।
গ্রামবাংলার গাছপালা, ঝোপঝাড় আর বাগানে ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করা হয় এই ডিম। শীত-গ্রীষ্ম আর রোদ উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধে অবধি চলতে থাকে খোঁজ। বাদুড়িয়ার বাবলু আকুঞ্জি জানান, পিঁপড়ের ডিম বিক্রি করেই তিনি প্রতিদিনের সংসার চালান। মাছ ধরার টোপ হিসেবে এই ডিমের চাহিদা বেশ জনপ্রিয়। বসিরহাট থেকে শুরু করে কলকাতার বিভিন্ন বাজারে প্রতিকেজি ডিম বিক্রি হয় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়।
advertisement
3/6
এই লাল পিঁপড়েগুলি বড়ো গাছের উঁচু ডালে লার্ভা থেকে নির্গত সুতোর মতো এক প্রকার তরল দিয়ে কয়েকটি পাতা সেলাই করে তৈরি হয় বাসা। দেখতে থলির মতো সেই বাসার ভেতরেই থাকে তাদের লার্ভা, ডিম, মধু ও পাকা ফলের টুকরো। প্রকৃতির এই অদ্ভুত সৃষ্টি থেকেই মেলে মূল্যবান পিঁপড়ের ডিম।
এই লাল পিঁপড়েগুলি বড়ো গাছের উঁচু ডালে লার্ভা থেকে নির্গত সুতার মতো এক প্রকার তরল দিয়ে কয়েকটি পাতা সেলাই করে তৈরি হয় বাসা। দেখতে থলির মতো সেই বাসার ভেতরেই থাকে তাদের লার্ভা, ডিম, মধু ও পাকা ফলের টুকরো। প্রকৃতির এই অদ্ভুত সৃষ্টি থেকেই মেলে মূল্যবান পিঁপড়ের ডিম।
advertisement
4/6
বাবলু আকুঞ্জি, আয়ুব গাজীর মতো সংগ্রাহকেরা বিশেষ কৌশলে এই বাসা থেকে ডিম তোলেন। বাঁশের লম্বা মাথায় বাঁধা ডালির সাহায্যে গাছে থাকা বাসায় আঘাত করলেই তা আলগা হয়ে পড়ে আসে। তারপর সেই ডালিতে জমে থাকা বাসা থেকে সতর্কতার সঙ্গে সংগ্রহ করা হয় ডিম।
বাবলু আকুঞ্জি, আয়ুব গাজীর মতো সংগ্রাহকেরা বিশেষ কৌশলে এই বাসা থেকে ডিম তোলেন। বাঁশের লম্বা মাথায় বাঁধা ডালির সাহায্যে গাছে থাকা বাসায় আঘাত করলেই তা আলগা হয়ে পড়ে আসে। তারপর সেই ডালিতে জমে থাকা বাসা থেকে সতর্কতার সঙ্গে সংগ্রহ করা হয় ডিম।
advertisement
5/6
এই ক্ষুদ্র ডিমই আজ বহু গরিব পরিবারের আয়ের উৎস। বাজারে এর চাহিদা এতটাই যে অনেকেই এই পেশায় যুক্ত হচ্ছেন। বিশেষত মাছ শিকারীদের কাছে এটি প্রিয় টোপ হিসেবে অমূল্য। পিঁপড়ের ডিম বিক্রির মাধ্যমে মাসে কয়েক হাজার টাকা আয় করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এই ক্ষুদ্র ডিমই আজ বহু গরিব পরিবারের আয়ের উৎস। বাজারে এর চাহিদা এতটাই যে অনেকেই এই পেশায় যুক্ত হচ্ছেন। বিশেষত মাছ শিকারীদের কাছে এটি প্রিয় টোপ হিসেবে অমূল্য। পিঁপড়ের ডিম বিক্রির মাধ্যমে মাসে কয়েক হাজার টাকা আয় করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
advertisement
6/6
অবশেষে বলা যায়, ক্ষুদ্র জীবের ক্ষুদ্র ডিমই বসিরহাটের প্রান্তিক মানুষের জীবনে আশার আলো এনে দিয়েছে। প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করেই তারা গড়ে তুলেছেন স্বনির্ভরতার এক নতুন দৃষ্টান্ত, যেখানে পিঁপড়ের ডিমই আজ তাদের জীবনের রুটিরুজির অন্যতম সহায়।
অবশেষে বলা যায়, ক্ষুদ্র জীবের ক্ষুদ্র ডিমই বসিরহাটের প্রান্তিক মানুষের জীবনে আশার আলো এনে দিয়েছে। প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করেই তারা গড়ে তুলেছেন স্বনির্ভরতার এক নতুন দৃষ্টান্ত, যেখানে পিঁপড়ের ডিমই আজ তাদের জীবনের রুটিরুজির অন্যতম সহায়।
advertisement
advertisement
advertisement